আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসূল (সা.) মহান চরিত্রের অধিকারী

মহান আল্লাহ তাঁর সর্বাপেক্ষা প্রিয়নবী (সা.)-কে একটি বিশেষ সময়ে প্রেরণ করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে সবকিছু সৃজিত হয়েছে। তিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূলকে রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। তাঁর পৃথিবীতে আগমন নবী রাসূলগণের (আ.) সর্বশেষ। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার দুনিয়ার জগতে তশরিফ আনেন।

যখন তিনি মাতৃগর্ভে ছিলেন তখন মাতা আমিনা এক স্বপ্নে দেখতে পান এক উজ্জ্বলতর আলো প্রাসাদগুলো আলোকিত করছে। এই আলোই তাঁর (সা.) দুনিয়ায় তশরিফলগ্নে স্বচক্ষে বাস্তবে দেখতে পান।

তাঁর শুভাগমন লগ্নে পারস্যের রাজপ্রাসাদের ১৪টি চূড়া ভূমিতে ধসে পড়ে। অগি্নকুণ্ড নিভে যায় এবং সিলওয়া উপসাগর শুষ্ক হয়ে যায়। সব মখলুক রাসূল (সা.)-কে চেনে এমন আপন করে যেমনভাবে স্বীয় অস্তিত্বকে চেনে।

এমনকি আরশে আযিম তাকে চেনে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি এতই ব্যাপক যে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। তাঁর রিসালাতকে না মানলে মুমিন হওয়া যায় না। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন- নিশ্চয় আপনি সবচেয়ে মহান চরিত্রের অধিকারী। রাসূল (সা.) ফরমান আমি প্রেরিত হয়েছি উত্তম চরিত্রাবলীকে পূর্ণতা প্রদান করার জন্য। রাসূল (সা.) ফরমান তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা-মাতা তার সন্তান থেকে অধিক প্রিয় না হব।

আল্লাহ রাসূল (সা.)-এর বিশেষ সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রত্যেক জগতে বিদ্যমান। এমনকি স্বয়ং আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রিয় হাবিবকে মিরাজের সময়ে আরশে আযিমে উপস্থিত হতে বলেছেন। তিনি সৃষ্টি জগতের মূল। সব জগতের জন্য তিনি রহমত। সব মানুষের জন্য তিনিই যথেষ্ট।

রাসূল উম্মতের নাজাতের জন্য সদাব্যস্ত। উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে তিনি চিন্তিত। তাঁর দুনিয়ায় আগমনের আনন্দে আমরাও আনন্দিত। আল্লাহতায়ালা আমাদের ক্ষমা করুন এবং তাঁর সুপারিশ নসিব করুন।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.