দশম সংসদ নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে দেশের শান্তিশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে চিহ্নিত একটি মহল। আক্রান্তদের দাবি জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। নির্দয়ভাবে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে জিনিসপত্র। সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়েও চালানো হচ্ছে তাণ্ডব। যশোর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতা। প্রশাসন আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ালেও হিংস্র সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের ভয়ে তারা নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সহাবস্থান রয়েছে শত শত বছর ধরে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডার সহাবস্থান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতিকে উজ্জ্বল করেছে। এ পরিচিতি বারবার কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে সাম্প্রদায়িকতাবাদী অপশক্তি। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তারা সংখ্যালঘুদের রক্ত ঝরিয়ে বৈষয়িক ফায়দা লুটতে চেয়েছে। পাকিস্তানের পদলেহী ভূমিকায় অবতীর্ণ সাম্প্রদায়িক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধকালে সংখ্যালঘুদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক শক্তির জয়ে আশা করা হয়েছিল সমাজ থেকে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের অবসান হবে। কিন্তু রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক চেতনার থাবা পরিস্থিতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি নানা চেহারায় থাবা বিস্তার করছে জনসমাজে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর তারা জাতীয় ঐক্যে ভাঙন ধরতে যেসব নাশকতার আশ্রয় নেয় তার উর্বর শিকার হয় সংখ্যালঘুরা। আমরা মনে করি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে প্রশাসনকে কড়া মনোভাব নিতে হবে। এ ধরনের অপকর্মে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।