জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায়
প্রায় প্রত্যেকটা বামপন্থী কমরেডগণ যারাই যৌবনে আদর্শের বাণী কপচেছেন তাদের মধ্যে এক দুই জন বাদে সবগুলোর এত করুণ ভ্রষ্টতা আসাটা আমাদের অবাক করে। অথচ নীতি আদর্শের দিক থেকে প্রকৃত ইসলামের কাছাকাছি ছিল বামরা। প্রত্যেকেই আত্মস্বার্থের উর্দ্ধে উঠে মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিজেদের জীবনকে উতসর্গ করেছিলেন।
কিন্তু নিয়তির কি পরিহাস! এরাই আজ এদেশের অর্থনীতির একটি বিশাল অংশ দখল করে পুজিপতি বনে গেছে। খোজ নিলে দেখা যাবে বেশিরভাগ চালচুলোহীন, যারা দুপায়ে এসবকে ঠেলে পার্থিব কোন স্বার্থ ছাড়াই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল তারা আজ ঘরে ফিরে এসেছে কলাগাছ হয়ে। কেন এত দ্রুত পতন, কেন তারা নৈতিকতাহীনতায় পুজিবাদিদেরও এভাবে ছাড়িয়ে গেল? এই প্রশ্নের জবাব হয় তো মিলবে যদি আমরা তাদের মনস্তত্বের দিকে খেয়াল করি। তারা একটা সময় ঘর ছেড়েছে, বাবা মা ছেড়েছে। কিন্তু যখন দেখল সারা বিশ্বে সমাজতন্ত্র ধ্বসে পড়েছে তখন তারা হেলায় ফেলে দেওয়া স্বার্থের দিকে খেয়াল দিল।
তখন আগে তাদের না পাওয়ার হাহাকারটা প্রবল আকারে ধরা পড়ল। এরা হয়ে গেল একেকজন আদর্শহীন, ক্ষুধার্ত পশু। তাই আজ তাদের এই দূরবস্থা। কারণ তাদের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। কেননা সন্তুষ্টির প্রশ্ন আসলেই স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিতে হয়।
তার উপর ভরসা করতে হয়। তাদের এই আত্মিকশূন্যতাই তাদেরকে এককালে যাদেরকে বুর্জোয়া বলতো তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাই দেখি আমাদের প্রাক্তন কমরেডদের এই অধপতন। এরা গণতান্ত্রিকদের পদলেহন করে সুবিধা আদায় করে নিচ্চে। তারা আদর্শহীন পশু।
পশুকে আপনি ঘৃণা করে কি করবেন? পশুর কি ঘৃণাবোধ আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।