গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকার পরীবাগে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ বাসযাত্রী শাহীনা আক্তার ও ফরিদ মিয়া মারা যান বুধবার সকালে। আগের দিন রাতে সিরাজগঞ্জে আলুর ট্রাকে পেট্রোল বোমায় মৃত্যু হয় দুই ব্যবসায়ীর।
নির্বাচন ঠেকাতে অবরোধের মধ্যে গত শুক্রবার ভোরে এয়ারপোর্ট থেকে গুলিস্তানগামী একটি বাস পরীবাগের কাছে অবরোধকারীদের পেট্রোল বোমার শিকার হয়। এতে বাস চালক মো.বাবুলের সঙ্গে অগ্নিদগ্ধ হন শাহীনা ও ফরিদ।
পোড়া দেহ নিয়ে ছয় দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় ছটফট করা শাহীনা বুধবার ভোররাতে মারা যান বলে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান।
এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় সকাল ১০টার দিকে ফরিদ মিয়ার মৃত্যু হয় বলে জানান বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল।
হরতাল-অবরোধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ বা বোমা হামলার ঘটনায় দগ্ধ হয়ে যারা ঢাকা মেডিকেলে এসেছিলেন, এ দুইজনকে নিয়ে তাদের অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হলো।
৬০ বছর বয়সী ফরিদ মিয়া বাদামতলীতে ফল বিক্রি করতেন। বনানী থেকে মানিকদীর বাসায় যেতে তিনি বাসে উঠেছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর বেলাবোতে।
৪০ বছর বয়সী শাহীনার দেহের ৬৪ শতাংশ পুড়েছিল। বীমা কোম্পানি অ্যালিকোর এই কর্মী স্বামীর সঙ্গে থাকতেন এয়ারফোর্স স্টাফ কোয়ার্টারে। তার বাড়ি যশোরে।
এদিকে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বিরোধী দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হোড়গাড়ি এলাকায় নলকা-হাটিকুমরুল মহাসড়কে আলু বোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়।
এতে দগ্ধ হয়ে আলু ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন (২২) মারা যান বলে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আলী ফরিদ আহম্মেদ জানান।
বোমায় আগুন ধরার পর ট্রাকটি রাস্তার পাশে খাদে পড়লে নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ট্রাকের আরেক আরোহী মিলনের (২৫), যার লাশ উদ্ধার করা হয়ে বুধবার সকালে।
তারা দুজনই বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গনেশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আরো চারজন আহত পেয়েছেন বলে ওসি ফরিদ জানান।
বগুড়া থেকে আলু নিয়ে ঢাকায় আসার পথে সলঙ্গার হোড়গাড়ি এলাকায় তারা হামলার শিকার হন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।