শুক্রবার ভোরে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামে এ হামলায় গুরুতর আহত জলি আক্তার তুলিকে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুনে তুলির মুখমণ্ডল ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। তুলির সঙ্গে থাকা তার নানি ছাহেরা খাতুনের হাতও পুড়ে গেছে।
তুলি জয়পুরহাট সদরের চিরলা গ্রামের জহির উদ্দিনের মেয়ে; এবার জয়পুরহাটের মঙ্গলবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তুলির বাবা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কলেজে যাওয়ার পথে পাশের গ্রামের বিবাহিত আবু সায়েম নামের এক বখাটে তুলিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়াসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
এতে রাজি না হলে তুলিকে অপহরণের হুমকিও দেয় সায়েম।
এ ভয়ে তুলিকে নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী হিলি-হাকিমপুর উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ভোররাতে বখাটে সায়েম তুলির শোবার ঘরের টিনের ফাঁক দিয়ে পলিথিন ভরা পেট্রোল দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তুলির নানি ছাহেরা খাতুন জানান, তার সাথেই তুলি ঘুমিয়েছিলেন। টিনের শব্দ শুনে ও শীতল পানির মত গায়ে পড়তেই ঘুম থেকে জেগে উঠার সাথে সাথে তুলির গায়ে ও আমার হাতে আগুন জ্বলে ওঠে।
এরপর জানালা খুলে চিৎকার করার সময় তুলি সায়েমকে পালাতে দেখে চিনতে পারে।
পরে তুলির মামা দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে কম্বল জড়িয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, অগ্নিদগ্ধ তুলির পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে ভুক্তভোগী ও আসামিদের ঠিকানা জয়পুরহাট থানাধীন হলেও ঘটনাস্থল জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের হাকিমপুর থানায় হওয়ায় সেখানে মামলা করতে হবে।
তবে মামলা হলে জয়পুরহাট পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।