বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলের মহিলা ওয়ার্ডে একাকী মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বহুতল ভবনের চারতলায় অবস্থিত ওই মহিলা ওয়ার্ডের অবস্থা একেবারেই করুণ। চরম অস্বাস্থ্যকর, স্যাঁতসেঁতে গুমট অবস্থা আর বিশ্রী গন্ধে ভরা কক্ষটির দেয়ালের সিমেন্ট-বালু খুলে পড়ছে। টয়লেটের অবস্থা আরও নাজুক। দুর্গন্ধের জন্য সেটির ভেতরে প্রবেশ করা একেবারেই দুঃসাধ্য।
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপ্রেসার, ইউরিন সমস্যা ও উদরাময়সহ বিভিন্ন রকমের জটিল রোগের পাশাপাশি পায়ের সমস্যা আরও জটিলাকার ধারণ করেছে। ইতিপূর্বে সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক সিরাজুল করিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকলেও বর্তমানে তিনি একই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এম আবদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রিজভী আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের বোর্ড বসিয়ে তার জন্য একটি কেবিন বরাদ্দের লিখিত সিদ্ধান্ত দেন এবং অধ্যাপক ডা. এম আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনাটিও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয় যথারীতি। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত একেবারেই আমলে নিচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় রিজভী আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার স্বার্থে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে অবস্থানকৃত অস্বাস্থ্যকর মহিলা ওয়ার্ডের এ প্রিজন সেল থেকে অবিলম্বে একটি কেবিনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে রিজভী আহমেদের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, তার স্বামী মারাত্দক অসুস্থ। ডায়াবেটিস সংক্রান্ত কারণে ইউরিন সংক্রান্ত সমস্যাটি আরও প্রবলাকার ধারণ করেছে। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা ওই প্রিজন সেলের টয়লেটটি পর্যন্ত ব্যবহার করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তার জন্য একটি কেবিন বরাদ্দ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তিনি রিজভী আহমেদের চিকিৎসার স্বার্থে তাকে যত দ্রুত সম্ভব কেবিনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে রিজভী আহমেদ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর এই কক্ষে থাকার কষ্ট সইতে না পেরে তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে চিকিৎসকরা উল্লেখ করেন। - নিজস্ব প্রতিবেদক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।