আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় পার্টি মন্ত্রিসভায় থাকবে, বিরোধী দলেও থাকবে

জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। বেগম রওশন এরশাদ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। তবে আমরা মন্ত্রিসভায়ও থাকব। এটা হবে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার। মন্ত্রিসভায় থেকেই সরকারের ভুলের সমালোচনা করব।

নিয়মিত সংসদে থাকব। বিএনপির মতো সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করে সংসদে গিয়ে স্বাক্ষর করে চলে আসব না। শুক্রবার এসএ টিভির টকশো 'লেট এডিশন'_ এ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি এ কথা বলেন। নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, বিগত পাঁচ বছরে বিরোধী দলের যে ভূমিকা দেখেছি সেটি জাতীয় পার্টি করবে না।

সংসদে গিয়ে স্বাক্ষর করে ওয়াকআউট করলাম। আর যেদিন না গেলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে সেদিন গিয়ে চিৎকার-গালাগাল করে আবার স্বাক্ষর করে চলে এলাম_ এটা বিরোধী দলের দায়িত্ব নয়। আমরা নিয়মিত সংসদে থেকে সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরব। এবার সরকারের এত ভুল হলো বিরোধী দল একটা ভুলেরও সমালোচনা করল না। সংসদেই তারা যায় না।

শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে একটা দিনও কথা বলেনি বা একদিন হরতাল দেয়নি। তারা শুধু নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সংসদের বাইরে বসে আন্দোলন তৈরি করছেন। আমি মন্ত্রী হলেও সরকারের অনিয়মের কথা বলব। এবার সরকারকে শেয়ার কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ প্রসঙ্গে ফিরোজ রশীদ বলেন, উনি কখনো আটক নন।

উনি চিকিৎসাধীন আছেন। আমি দলের মুখপাত্র। আমার কথাই ঠিক। এরশাদ সাহেব নিজেই রওশন এরশাদকে সংসদীয় দলের নেতা করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। উনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

তাই নিজেই অনীহা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা হতে।

নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে ফিরোজ রশীদ বলেন, এই নির্বাচনে সব দল অর্থাৎ বিরোধী দল বিএনপি যদি তাদের মিত্রদের নিয়ে আসত তাহলে নির্বাচনটা অনেক ভালো হতো। এত হানাহানি হতো না। এত মানুষকে অকালে জীবন দিতে হতো না। রাজনীতি করেন রাজনীতিবিদরা।

কিন্তু রাজনীতির এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এবার ভোট চাইতে গেলে কেউ আর রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ চায়নি। সবার এক কথা- শান্তি চাই।

তাই যারা সহিংসতা করছে তাদের অবিলম্বে এ পথ থেকে সরে আসতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের কারণে আমরা '৯০-এ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিএনপি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে পারেনি। চোরাগোপ্তা হামলা করছে। এগুলো বড় আন্দোলনের কোনো লক্ষণ নয়।

যদি লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ঢাকা শহর অবরুদ্ধ করতে পারত তাহলে বোঝা যেত আন্দোলন হচ্ছে। মানুষ একটু শান্তিতে থাকতে চায়। আমরা রাজনীতিবিদরা মানুষকে কিছুই দিতে পারছি না। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ৫০০ প্রাইমারি স্কুল পুড়িয়ে দেওয়া হলো। এতে লাভ কী হয়েছে?

তিনি বলেন, এদেশে দুই নেত্রীর পেছনেই গোটা দেশ।

যা করার তাদেরকেই করতে হবে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তৃতীয় শক্তি করার জন্য। এরশাদের নেতৃত্বে বা অন্য অনেককে নিয়ে জোট করার চেষ্টা করেছি কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়ে এখন ক্লান্ত। দুই দল নির্বাচনের একটা স্থায়ী পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে গেলে যে কোনো মুহূর্তে আরেকটা নির্বাচন হতে পারে। কিছু না হলে সরকার এভাবেই চলবে।

সুতরাং বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে তাদের ফর্মুলা নিয়ে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.