অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।
বাদশাহ হযরত আওরঙ্গজেব আলমগীর রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন অত্যন্ত বুযুর্গ একজন ওলীআল্লাহ, যিনি ছিলেন মুঘল বাদশাহদের মধ্যে গোটা ভারতবর্ষে রাজত্ব করা একমাত্র ব্যক্তিত্ব। উনার এক অতি আদরের কন্যা ছিলেন, যাঁর নাম ছিল হযরত জীবুন্নিছা রহমতুল্লাহি আলাইহা। তিনি কুরআন শরীফ হিফয করে পিতার নিকট হতে ত্রিশ হাজার স্বর্ণমুদ্রা পুরস্কৃত হয়েছিলেন। উনার ব্যক্তিগত কিতাবের সংগ্রহকে ইতিহাসবিদগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ লাইব্রেরীগুলোর অন্যতম বলে মত প্রকাশ করেছেন।
উনার অধীনে বহু আলিম ও গবেষক উনার নির্দেশ মুতাবিক গবেষণাকার্য ও কিতাব রচনায় নিয়োজিত থাকতেন। তাফসীর উনার একখানা কিতাব ‘জীবুত্তাফসীর’ উনারই পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত হয়েছিল।
১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা সিপাহী বিদ্রোহের পর ইংরেজরা ঠিক করলো, ভারতবর্ষের মুসলমানদের ইতিহাস বিকৃত করে দিতে হবে। এত নোংরা কল্পকাহিনী ভারতবর্ষের মুসলমান উনাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ে প্রচার করতে হবে, যেন তাদের গর্ব করার মতো কোনোকিছুই অবশিষ্ট না থাকে। সেক্ষেত্রে জিহাদ করার মতো মনোবলও মুসলমানদের থাকবে না এবং হীনম্মন্যতায় আক্রান্ত হয়ে তারা ব্রিটিশদের এবং হিন্দুদের সামনে মাথা নত করে থাকবে, এটিই ছিল কুচক্রী ব্রিটিশদের ইচ্ছা।
(নাউযুবিল্লাহ)
সিপাহী বিদ্রোহে ব্রিটিশদের দালালির পুরস্কারস্বরূপ বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়টি উপহার দিয়েছিল ব্রিটিশরা। তার প্রথম গ্র্যাজুয়েট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ব্রিটিশদের মদদে মুঘল রাজপ্রাসাদের নারীদের চরিত্রে ভয়াবহ অপবাদ দান করে রচনা করলো ‘রাজসিংহ’ নামক তার কল্পিত অপ-উপন্যাসটি। সে উপন্যাসে জীবুন্নিছা নামধারী চরিত্রে দেখানো হয় একজন ব্যভিচারিণীকে, যার পিতা বাদশাহ হওয়ার পরও যে কিনা প্রাসাদের দারোয়ানের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হতো! (নাউযুবিল্লাহ)। শুধু তাই নয়, হযরত আলমগীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বোনকেও ব্যভিচারিনী হিসেবে দেখাতে দ্বিধাবোধ করেনি কুচক্রী নরপশু বঙ্কিমচন্দ্র। (নাউযুবিল্লাহ)
ঠিক এভাবেই হিন্দুরা ব্রিটিশদের মদদে কলঙ্কিত করেছিল ভারতবর্ষের মুসলমান উনাদের প্রত্যেকটি গর্বের স্থল।
যেই হযরত জীবুত্তাফসীর রহমাতুল্লাহি আলাইহা উনাকে নিয়ে ভারতবর্ষের মুসলমানদের গর্ব করার কথা, সেখানে আজ উনাকে ব্যভিচারী হিসেবে চিত্রিত করে মুসলমান উনাদের অপমানিত করা হচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ)। কারণ মিডিয়া বঙ্কিম আর রবি ঠাকুরদের অনুসারীদেরই দখলে। হিটলারের মিডিয়া সহকারী গোয়েবলসের একটি মশহুর উক্তি হলো, “একটি মিথ্যাকে বারংবার প্রচার করতে থাকলে তা সত্যতে পরিণত হয়। ” হযরত জীবুত্তাফসীর রহমাতুল্লাহি আলাইহা উনার সঠিক ইতিহাসও আজ কাফিরদের আরোপিত মিথ্যার আস্তরণে চাপা পড়ে গিয়েছে।
এই অশুভ চক্রের থেকে পরিত্রাণ কোথায়? এর পরিত্রাণ রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পাক ক্বদম মুবারকে, উনার পরিচালিত দৈনিক আল ইহসান শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফে। উনার মুবারক পতাকাতলে ভারতবর্ষের মুসলমান উনাদেরকে সমবেত হতে হবে গাযওয়ায়ে হিন্দ উনার জন্য, যেই গাযওয়ায়ে হিন্দ উনার পর ভারতবর্ষের বুকে আর কোনো অন্যায় এর অস্তিÍত্ব থাকবে না। ইনশাআল্লাহ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।