আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজিন রিভিউ: Dhoom 3



মানুষ মুভি উপভোগ করে আর আমি Dhoom 3 সহ্য করলাম। এইডা কী জিনিসরে ভাই? এই Aamir Khan? এই সেই অভিনেতা যে Lagaan, Dil Chahta Hain, Ghajini এবং 3 Idiots এ অসাধারণ অভিনয় দেখিয়ে সবাইকে তাজ্জব বানিয়ে দিয়েছিল? মুভিটি দেখার পর প্রতি ৩ মিনিট পরপর মাথায় ধুমধাম শব্দ সহ ব্যাথা অনুভব করছি। যার কারনেই হয়তো মুভির নাম Dhoom 3।
ফালতু একটা কাহিনী তাও বলতে হয় বলি। বেসিক আলির বাংগু ব্যাংকের এতই উন্নতি যে কথা নাই কওয়া নাই , এক্কেরে ডাইরেক্ট শিকাগোতে একটি শাখা খুলে বসেছে।

সেই শিকাগোর গ্রামীণ ব্যাংক Jackie Shroff কে কিছু ধার দেয়। মুভির তাগিদেই সেটা শোধ দেবার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু তার সার্কাস দেখাতে কোনই আপত্তি নাই। ব্যাংকারদের ট্যাকা লাগবো। Jackie Shroff দেখাইবো The Greatest Show on Earth।

আরে ওয়ার্ল্ডকাপ ফুটবল নাকি? পরে ফুটবল না পাইয়া সেই সার্কাস দেইখা ব্যাংকারগুলার মেজাজ পুরাই খারাপ। কোন মাফ নাই। Jackie Shroff এর আত্মহত্যা এবং তার ছেলে পিচ্চি Aamir Khan এর চোখে প্রতিশোধের আগুন। ব্যস, শুরু বাংগু ব্যাংকের ধ্বংস। একের পর এক শাখায় চুরি।

চোরকে ধরা যায় না। চোরের চেহারা সবাই দেখে আর চোরকে কেও চিনে না। বিরাট রহস্য।
ব্যস এই বড় অপরাধীকে ধরতে বিশ্ব বিখ্যাত পুলিশের প্রয়োজন। চলে আসে সেই বিরক্তিকর জুটি জয়-আলী ( Abhishek Bachchan – Uday Chopra)।

তারপর মুভিতে ... ধুর আর কইতে পারুম না মাথা ব্যাথা করতেসে।
অমিতাভ বচ্চন মুভিটি দেখে বলেছিল: “অভিষেক কে অনেক ভাল লেগেছে”।
শুনে ভেবেছিলাম, বুইড়া কয় কী? এই মুভি সবাই দেখতে গিয়েছে একটি মাত্র শুধুমাত্র একটি কারনে যার নাম আমির খান। কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্যি আমির খানের অভিনয় কোনদিক দিয়েই ভাল হয়নি। অনেক জায়গাতে তার অভিনয় শাহরুখ খানের কপি বলেও মনে হয়েছে।

আমির খানের কাছে এটি আশা করিনি। ধুম এর খল হিসেবে জন এব্রাহামও এর চেয়ে অনেক ভালো ছিল।
অভিষেক-উদয় জুটিটিকে মানুষ সহ্য করে ক্যামনে আমি বুঝতে পারি না। অভিষেক তাও কিছুটা চেষ্টা করে কিন্তু উদয় চোপড়া পুরোপুরি সহ্যের বাইরে। উদয় যেই দৃশ্যে সেই দৃশ্যে দর্শকদের মুখে “মাইরালা ... মাইরালা ...”।


ক্যাটরিনা হলো Show Piece নায়িকা । শো-পিস হিসেবে খারাপ না। কিন্তু নায়িকা কী শো-পিসের উপরে কিছু হতে পারেনা? অভিনয়ের দিক দিয়ে শুধুমাত্র জ্যাকি শ্রফের কয়েকটি দৃশ্য ভালো লেগেছে।
মুভির সংগীত তেমন কিছুই না। “তুহি জুনুন ...” গানটি কিছুটা ভালো।

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সংগীত চিত্রায়ন “মালাং” গানটি চলে কিন্তু আহামরি কিছুই না।
মুভিটির একশান সেই ধুম টাইপেরই। ভিলেন ভাগে পুলিশ ভাব মাইরা পিছু নেয় আবার ভিলেন ভাগে। অনেকের ভালো লাগতেও পারে কিন্তু আমার কাছে বিরক্তিকর লেগেছে। আর কত?
মুভিটির নাম “ধুম-৩” তাই “ধুম” এবং “ধুম-২” এর সাথে তুলনা চলেই আসে।

মুভি ৩টির মধ্যে আমি অবশ্য “ধুম-২” কে কিছুটা ভালো বলবো। “ধুম-৩” , তিনটি মুভির মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের। “ধুম” ছিল “The Fast and the furious” এর হিন্দী সংস্করণ। “ধুম-২” এ ছিল Hrithik-Aishwarya এর জুটির রোমাঞ্চকর যাত্রা। “ধুম-৩” তে আছে শুধু আমির খান।

সেই আমির খানই ডুবাইসে।
পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ আচার্যকে সব দর্শকের উপদেশ:”তুই Please অফ যা”।
সব মিলিয়ে বিরক্তিকর একটি মুভি।

রেটিং- ০.৫ /৫

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।