মুভির শুরুতে: ওরে খাইসেরে! শাহরুখ খান!
মুভির শেষে: ওরে খাইসেরে! আমার কপাল তো দেখি ফুইলা লাল হইয়া গেসে।
৩ ঘন্টা ধইরা মুভির যেই সিন দেখি কপাল চাপড়াইতে ভুলি নাই। এইভাবেই দেখা হইলো Yash Chopra ‘র নাম কা ওয়াস্তে শেষ চলচ্চিত্র “Jab Tak Hai Jaan”।
কাহিনী জানা যাক। মেজর সামার আনান্দ ( Shahrukh Khan) একজন লাইক এ বস বোমা বিশারদ।
বোমার লাল তার , নীল তার কাটতে তার বোমা থেকে বাঁচার স্যুট পড়তে গেলে গা কুটকুট করে। তাই স্যুট ছাড়াই এই ভয়ংকর কাজ। কথা নাই কওয়া নাই কই থেইক্কা এক মাইয়া, নাম আকিরা ( Anushka Sharma), Sports Bra আর হাফ প্যান্ট পইড়া দিল পানিতে ঝাঁপ।
মুভি অনুযায়ী ঐটা বলে বিকিনি পড়া ছিল! যাই হোক মাইয়া পানিতে পইড়া গেল ভুইলা সেই বিখ্যাত গান “যমুনার জল দেখতে কালো ...”। যা হওয়ার তাই হইলো ।
শাহরুখ বাঁচাইলো। মাইয়ার গায়ে জামা নাই তাই নিজের জামা খুইলা গেলো চইলা। আকিরা আপু সেই জামার ভিতরে পাইলো শাহরুখের ডায়রী।
তারপর শুরু হইলো অমর প্রেমকথা। ডায়রীর ভিতরে সামার এবং মীরা ( Katrina Kaif) এর পেম-কাহিনী পম গানা।
ডায়রী পরা শেষ হয়ে আনুশকা কান্দে কী দুঃখ কী দুঃখ ! এদিকে দর্শকেরা কান্দে :”নিজের টাকা খরচ করলাম এই মুভি দেখতে??” এরপর ঘড়ির দিকে তাকায় দেখি মুভি আরো অর্ধেকটা বাকি। এরপর এই হয় সেই হয়। যেটাই হয় বলে উঠি :”এটা কী হয়?”।
প্রথমে বলে রাখি যদিও মুভিটি ইয়াশ চোপড়ার শেষ চলচ্চিত্র তবে মুভিটির রোমান্টিক দৃশ্যগুলির চিত্রায়ন তিনি করেননি। এই অসাধারন চলচ্চিত্র নির্মাতার মুভি দেখেই বড় হয়েছি।
তার শেষ মুভিটি তার অসাধারণ নির্মাণ যাত্রাকে ঠিক সার্থক করতে পারেনি। তবুও এই মহান চলচ্চিত্র নির্মাতাকে সালাম।
মুভির কাহিনী লিখেছেন আদিত্য চোপড়া। চরম ফালতু কাহিনী। নিজেকে তিনি আসলে বিরাট কিছু মনে করেন।
সামনে উনার কপালে খারাবি আসে বোঝা যাইতেসে। মুভির কিছু দৃশ্য সুইজারল্যান্ডে যথারীতি করার কথা থাকলেও ইয়াশ চোপড়ার মৃত্যুর কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি।
অভিনয়ের দিক দিয়ে শাহরুখ খানের বোমা বিষারদ চরিত্রটি অন্য ছ্যাবলা সামার এর চেয়ে ভালো হলেও চরিত্রটি Chak De India এর কবির খানের মতোই। অভিনয়ে কোন নতুনত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। শাহরুখের করা অন্যতম জঘন্য মুভি এটি।
ক্যাটরিনা কে কেন জানি অভিনয় করতেই বলেনি। একটু পরপরই বলা হয়েছে: ঐ মাইয়া তোর পা ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না। ক্যাটরিনা-শাহরুখের জুঁটি একেবারেই বেমানান তবে কাহিনীতে কেন জানি মানানোর কোন চেষ্টাই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আনুশকার চরিত্রটিই ছিল বিরক্তিকর। যতক্ষণ ছিল ততক্ষণই বিরক্ত লেগেছে।
এছাড়া শুধুমাত্র শাহরুখের বন্ধু চরিত্রে Sharib Hashmi কে ভালো লেগেছে।
মুভির একমাত্র ভালো দিক ছিল মুভির সংগীত। এ আর রহমান এই প্রথমবার ইয়াশ চোপড়ার সাথে কাজ করেছেন। চাল্লা , হীর , সাস প্রত্যেকটি গানই অনেক সুন্দর। মুভির দৃশ্যগুলির মধ্যে শুধুমাত্র বোমা ডিফিউজের দৃশ্যগুলি একটু ভালো।
সবশেষে একটা কথা বলবো। আমার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করছিলাম যে মুভিটিতে কী করা হলে মুভিটি একটু হলেও ভালো হত? আমার স্ত্রী সর্বসেরা উক্তি দেয়:”সবচেয়ে ভালো হতো মুভিটি বানানোই না হলে। “
রেটিং- ০.৫/৫
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।