আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদ্ভট এক জগতের স্বপ্ন-৩

হাজারটা স্বপ্ন একটি বাস্তবতাকে বদলাতে পারে না

এভারের স্বপ্নটা কেমন জানি ছাড়া ছাড়া, কোন কাহিনী বা ঘটনা নেই। একের সাথে আরেকের কন যোগসূত্র ঠিক খুজে পাওয়া যায় না।

হয়েছে কি, শুনলাম পরীক্ষা শেষ না হতেই মাস্টার্সের ক্লাস শুরু হয়ে যাবার পথে, এ নিয়ে ভীষণ(!) ব্যাস্ততা। এর মধ্যে থিসিস নিয়ে স্যারদের সাথে এক ঘোট পাকিয়ে ফেলেছি। আমার মত থার্ড ক্লাস আলু টাইপের এক ছাত্র এমন ঘোট পাকানোয় যেমন উক্ত শিক্ষকরা যারপরনাই বিরক্ত, তেমনি তাদের অনুসারী ছাত্র-ছাত্রীগণ আমার দিকে এখন ভয়াবহ চোখে তাকানো শুরু করেছে।



বুঝলেন তো? টেনশন আর টেনশন। এমন অবস্থায় ঘুমোতে গিয়ে দেখি ঘুম আসে না। এপাশ-ওপাশ করি শুধু। এভাবে ১২টা ১টা ৩টা পার হলে পর একটু তন্দ্রামত আসে। আর তখন দেখি ক্যাম্পাসে ছেলে-পিলে ছোটাছুটি করছে।

টিএসসি নাকি রণক্ষেত্র!! এর ওর কাছে ধর্না দিয়ে শুনি ছাত্রলীগের এক গ্রুপ আর নবগঠিত বাংলাদেশ ছাত্রপার্টির ভিতর মারামারি হচ্ছে। আমাদের ক্যাম্পাস যেখানে মারামারি আর রাজনীতি ছাড়া নাকি কিছুই হয় না, সেখানে হঠাৎ এই উত্তেজনা মিস করতে চাইলাম না। সকল শুভাকাংক্ষীর(?) নিষেধকে ফাক ইউ জানিয়ে রওনা দেই টিএসসি।

সেখানে গিয়ে দেখি রণক্ষেত্রই বটে। দুই গ্রুপ মুখোমুখি।

একটা যথেষ্ট ভারী। বলে দিতে হল না ওটাই ছাত্রলীগ। তারা দুই গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে করছে বাকযুদ্ধ। ছাত্রলীগের পোলাপান সোমানে ছাত্রপার্টিকে লুচ্চা, এবং বিবিধ বিশেষণে গাল দিচ্ছে। ছাত্রপার্টির ছোট গ্রুপটি তার সাথে তাল রাখতে পারছে না।

এই হল রণের অবস্থা। মনে হয় এক রকম হতাশার কারণেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাংলে নানান কিছু ভাবতে শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি বছর পার করেও আমার গার্লফ্রেন্ড নেই সেই হতাশায় দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে আবার ঘুমিয়ে পরলাম।

এবার স্বপ্নে দেখি জাতীয় সংসদে সরকার আর বিরোধী দলের তুমুল বাক-বিতন্ডা চলছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাংসদরা দেশকে সাতটি অঙ্গরাজ্যে ভাগ করার প্রস্তাবে তুলকালাম বাধিয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যের একটি আবার রংপুর প্রদেশ। দফায় দফায় তারা বলছে এখনি তারা ওয়াক-আউট করবে, এরসাদ বলছে সুইসাইড করবে। আর সুরঞ্জিত বাবু দাত কেলাচ্ছে। তোফায়েল আহমেদ সহ সরকার দলের মন্ত্রীরা "সাবেক সৈরাচারে"র এ প্রস্তাবকে হাস্যরসে পরিণত করাইয় লীপ্ত হয়েছে দেখা যায়।

তবে স্পিকারকে (কেডা ঠিক চিনলাম না, যেমন টকশো'র বেশিরভাগ মাথামোটারে চিনি না) বড়ই সন্তুষ্ট মনে হল। এমনকি মুখেই বলে ফেললেন তিনি তার পছন্দের সংসদ পেয়ে গেছেন।

সন্তুষ্টির মাঝেই ঘুম ভাঙ্গে আবার।

পুণ্রায় যখন ঘুমোতে গেলাম, তখন দেখি পল্টনে বিরোধী দলের মহা সমাবেশ। সেই সমাবেশে অনেএএএক মানুষ।

তবে বিগত কোন সমাবেশের মত যানজট কিংবা জনদূর্ভোগের মত ঘটনা ঘটছে না। বিরোধীদলের নেতা এতে সন্তুষ্ট এবং তিনি জানান এরকম একটি সুন্দর নজির স্থাপন করতে পেরে তারা আজ একটি আদর্শ বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সবকিছু ডেম ইউ ফাক ইউ জানিয়ে যখন সামুতে বসি তখন দেখি বিশিষ্ট ছাগু-ব্যবসায়ী থুক্কু ছাগু-ফাইটারদের ব্যবসায় মন্দা লেগেছে। কিন্তু তারা দমে যায়নি। বরং বিরোধী দলের "সাবেক সৈরাচার"এর "লাঙ্গল-খানা" নিয়ে চটকদার সব ব্লগ লিখে যাচ্ছেন।

লাঙ্গলের আকৃতি এখন কেমন, সেটা আগের মত মাঠে চাষাবাদে ব্যবহার উপযোগী কিনা এইসব আর কি। ছাগু ও ছাগবান্ধবরা আগের মতই তাদের খোচায়। তবে ছাগুদের নাম গেছে এখন পালটে। এখন তাদের "লুল" বলে ডাকা হয়।


স্বপ্ন-কথন আপাতত এখানেই ক্ষান্ত দেই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।