আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশ

চলতি (২০১১-১২) অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই- ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৭৪৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা বেশি। রাজস্ব আদায়ে গড় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৫ হাজার ৭৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায়ে যথারীতি সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আয়কর বিভাগ। আয়কর আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময়ের আদায়কৃত আয়করের পরিমাণ ১৪ হাজার ৫০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বেশি। সে সময় আয়কর আদায় হয়েছিল ১০ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

প্রবৃদ্ধি অর্জনে আয়করের পরেই রয়েছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট। মূসকের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের আবগারী শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও টার্নওভার ট্যাক্স। প্রথম আট মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ২০ হাজার ৪৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩ হাজার ১৬৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

সে সময় ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩৬৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির দিক বিবেচনায় আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ের শুল্ক খাতের অবস্থান তৃতীয়। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি শুল্ক, রপ্তানি শুল্ক, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক। এ খাতে অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আমদানি ও রফতানি পর্যায়ের শুল্ক আদায় হয়েছে ১৯ হাজার ১৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি মোট ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শুল্ক আদায় বেড়েছে ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থ বছর ২০১০-১১ প্রথম আট মাসে শুল্ক আদায় হয়েছিল ১৭ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য কর ও শুল্ক আদায় এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আয়কর, মূসক ও শুল্ক বহির্ভুত অন্যান্য খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ২৯৯ কোটি টাকা। আর প্রবৃদ্ধি মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশেরও কম।

এ বিষয়ে এনবিআর এক কর্তমর্তা জানান, রাজস্ব আদায়ের তিনটি গুরুত্ব পূর্ণ খাতেই রস্ব আদায় সন্তোসজনক রয়েছে। তবে ভ্যাট আদায়ে আরো মনোযোগী হতে হবে। অন্য খাতের তুলনায় ভ্যাট আদায়ে গুরুত্ব দিলে এ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব। কিন্তু এখন এখাতে তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। গুরুত্ব সহকারে কার্যক্রম হাতে দিলে মোট রাজস্ব আদায়ের সিংহ ভাগ ভ্যাট থেকে আয় করা যায়।

অর্থ বছরের শেষের দিকে রাজস্ব আদায়ে আরো গতি আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষের দিকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বছরের প্রথম দিকের তুলনায় অনেকে বেড়ে যায়। তাই রাজস্ব আদায়ের বর্তমান হার অনেক বড়বে। বর্তমান আদায়ের হার হিসেবে বিচার করলে আট মাসে অর্ধেক আদায় হয়েছে বলে মনে হলেও বছর শেষে আদায়ের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে বিশ্বাক করেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরে (২০১০-১১) রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭৯ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.