কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি ও বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক বাজারের মন্দাভাবের কারণে দেশে জিডিপির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে সংস্থাটির মত।
সোমবার এক অনুষ্ঠানে চলতি অর্থবছরের সামগ্রিক অর্থনীতি বিষয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তফিজুর রহমান।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সাত দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্র ধরা হলেও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে ছয় দশমিক শুন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
তবে অর্থমন্ত্রী মনে করেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ছে না।
যদিও সরকারি বিনিয়োগে ইতিবাচক ধারা রয়েছে। তবে রাজস্ব আয় কম হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল হলেও বেশি।
সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে গতি আনতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোসহ সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, “নতুবা সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে।
এর ফলে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ নেয়া বেড়ে যাবে। ”
অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সম্প্রতি পুঁজির সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাতের হার কমছে, বাড়ছে খেলাপি ঋণ। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। ”
সিপিডি বলছে, এবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার অন্যতম কারণ কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া। তাই জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির উপরও জোর দিয়েছে সিপিডি।
আর এজন্য জরুরি ভিত্তিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দের স্থাপনের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছে সংস্থাটি।
রাজধানীর ধানমণ্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচারর্য, গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও ফাহমিদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।