পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আশরাফুজ্জামান জানান, বুধবার দুপুরে শওকত নামের ওই পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ লাইনের পুকুরে মুণ্ডুটি পাওয়া যায়, যা নান্নু মুন্সী নামের এক কবিরাজের বলে স্বজনদের দাবি।
জায়নাল নামে এক ব্যক্তি বুধবার সকালে মর্গে এসে দাবি করেন, ট্রাফিক ভবনে যে লাশটি পাওয়া গেছে, তা তার ভগ্নিপতি নান্নু মুন্সীর।
ট্রাফিক ভবনে পুলিশের গাড়ি চালক শওকতের স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গত রোববার যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ঢাকায় আসেন নান্নু।
তার বক্তব্যের সূত্র ধরেই কনস্টেবল শওকতকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে উপ কমিশনার আশরাফুজ্জামান জানান।
মঙ্গলবার পল্টনের পুলিশ হাসপাতাল থেকে থানায় জানানো হয়, তাদের বহুতল খবন থেকে ট্রাফিক ভবনের ছাদে একজনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পরে পুলিশ ছাদ থেকে ওই মুণ্ডুহীন লাশ উদ্ধার করে। তার পরনে ছিল ট্রাউজার ও গেঞ্জি।
থানার পেছনে পাঁচতলা ওই ভবনে যেতে হলে থানার ফটক অথবা উত্তর পাশের পুলিশের স্টাফ কোয়ার্টার দিয়ে ঢুকতে হয়।
ভবনটির নিচ তলায় একটি ক্যান্টিন রয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এবং চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের খেলোয়াড়, চালকসহ অন্যরা মিলিয়ে পাঁচশতের মত্ পুলিশ সদস্য থাকেন পুরাতন ট্রাফিক ভবনে।
এমনিতে বাইরের কারো ওই ভবনে প্রবেশাধিকার নেই। তবে পুলিশের আত্মীয়-স্বজনরা আসতে পারতেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।