ডুবন্ত মানুষকে প্রাণে বাঁচাতে ড্রোনের ব্যবহার করা হবে অচিরেই। প্রযুক্তিবিদরা এ ধরনের বিপদ মোকাবিলায় ড্রোনের ব্যবহার বাড়ানোর কথাই ভাবছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দুর্যোগে ড্রোনের ইতিবাচক ব্যবহার বিশ্বজুড়েই সমাদৃত হচ্ছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ড্রোনের ব্যবহার প্রমাণ করেছে এই প্রযুক্তির সংযোজন এখন সময়ের দাবি। যদিও ড্রোন সম্পর্কে সাধারণের নেতিবাচক ধারণাই বেশি।
যুদ্ধ পরিচালনায় ড্রোনের ব্যবহারের কথা বেশি প্রচলিত। কিন্তু ড্রোন শুধু প্রাণহানিতে নয়, প্রাণ রক্ষায়ও অবদান রাখতে পারে। গবেষকদের উদ্ভাবনী, পরিকল্পনা মতে, সম্প্রতি একটি ইরানি গবেষণা কেন্দ্র এমনই একটি ড্রোন তৈরি করেছে। যেটি সমুদ্রে ডুবন্ত মানুষের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এরই মধ্যে এই পরিকল্পনা ধরে এগোনো সম্ভব হয়েছে।
এ ধরনের ড্রোন প্রোটোটাইপ পর্যায়ে রয়েছে। ইরানের একদল গবেষক ও প্রযুক্তিবিদদের সহায়তায় এ প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। কাসপিয়ান সাগরে ডুবে প্রাণহানির ঘটনার পর এই ড্রোন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি পাখাযুক্ত এই ড্রোন একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি ভাসমান বয়া বহন করতে সক্ষম। ফলে এটি একই সঙ্গে কয়েকজন ডুবন্ত মানুষের জীবন রক্ষায় সক্ষম।
অন্যান্য ড্রোনের মতো এটি চলার পথের হিসাব রাখতে পারে জিপিএসের মাধ্যমে এবং কাজ শেষে ঘাঁটিতে ফিরে আসতে পারে। পার্স নামের এই ড্রোনটি মানুষ লাইফগার্ডের চেয়েও ৫০ সেকেন্ড দ্রুত কার্যসম্পাদনে সক্ষম। কাসপিয়ান সাগরের তীরে চালানো একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীর থেকে ৭৫ মিটার দূরে ডুবন্ত একজন মানুষকে এটি ভাসমান বয়া পেঁৗছে দিয়েছে মাত্র ২২ সেকেন্ডে যা কিনা সাধারণ মানুষ লাইফগার্ডের চেয়ে ৫০ সেকেন্ড দ্রুত। .
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।