অভিযোগকারী শিক্ষক হলেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মঈনুদ্দীন। অভিযোগের মুখে থাকা মামুন খান ওই বিভাগেরই শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার বিকালে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের নিচতলায় মামুন তার ওপর চড়াও হয় বলে অধ্যাপক মঈনুদ্দীন জানিয়েছেন। ওই ভবনের তৃতীয় তলায় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ।
ওই ভবনের নিচতলায় থাকা সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভবনের নিচে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দেখি হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে এসে মামুন খান অধ্যাপক মঈনুদ্দীনকে কিল-ঘুষি মারছে। ”
আহত শিক্ষক মঈনুদ্দিন তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই সময় তার কপালে ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে।
ছাত্রলীগ নেতা মামুন শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছি, শিক্ষকরা আমাকে নিয়ে অযথা রাজনীতি করছেন। ”
ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকায় মাস্টার্সের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষার দিন বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন মামুন।
তখন কয়েকজন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ছিনিয়েও নিয়েছিলেন তিনি।
“দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমরা,” বলেন তিনি।
মারধরের ঘটনা শুনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদারের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান।
অধ্যাপক মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য অধ্যাপক আনোয়ারের দীর্ঘ দিনের অপশাসন দায়ী, অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলব আমরা।
”
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আনোয়ার। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক এম এ মতিন।
শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রগতিশীল শিক্ষকদের মোর্চা ‘শিক্ষক মঞ্চ’র নেতা অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা সহ্য করা উচিত নয়, পদক্ষেপ নিতে বলেছি সংশ্লিষ্টদের। ”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান তার কমিটির প্রকাশনা সম্পাদকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষীয় ব্যবস্থা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দোষী প্রমাণিত হলে মামুন খানের বিরুদ্ধে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা মেনে নেব।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।