ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গনকবলিত এলাকা। ওই ইউনিয়নের মানিকনগর, সাহেবনগর, নয়াপাড়া, শ্রীঘর, নাসিরাবাদ গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত। প্রতি বছরই নদী ভাঙ্গনের ফলে ওইসব গ্রামের ফসলি জমিসহ বসত বাড়িঘর মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওইসব এলাকার মানুষ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে কোনো রকম টিকে আছে। আবার অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
ওই অঞ্চলটি এখন মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের রাহুগ্রাসের শিকার হয়েছে। এখন ওইসব অঞ্চলে চলছে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহোৎসব। স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে ভাঙ্গনকবলিত অসহায় মানুষগুলোকে লোভ-লালসা দেখিয়ে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বল্পমূল্যে জমির মাটি খরিদ করে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে দেদারসে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে। স্থানীয় মাটি কাটা সিন্ডিকেটের রহিম মিয়া, শফিক মিয়া, জামাল মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, সেন্টু কেরানী, কাশেম মিয়া, রহিছ মিয়ারা গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে মাটি বিক্রি শুরু করেছে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ওই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন মাটি কাটায় বাঁধা দেয়।
কিন্তু বাঁধাকে উপেক্ষা করে চলতে থাকে মাটি কাটা। পরে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল কালাম সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপরও থেমে নেই মাটি কাটা। নদীর পাড়ের জমিতে যে বিদ্যুৎ এর খুঁটি রয়েছে সেই জমিতে মাটি কাটার ফলে একটি বিদ্যুৎ খুঁটি পড়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বাদী করে গত ৩ ডিসেম্বর নবীনগর থানায় একটি দায়সারা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা হলেও আদৌ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এক অদৃশ্য শক্তির হস্তক্ষেপে উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসন যেন নীরব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই অঞ্চলে অবৈধ মাটি ব্যবসা চলছে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, অচিরেই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।