বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামপুর এলাকায় শিল্পবর্জ্য ফেলা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে শিল্পবর্জ্যে বুড়িগঙ্গা দূষণের অভিযোগের বিষয় জানাতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অধিদফতরের এক কর্মকর্তাকে ৫ ফেব্রুয়ারি হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নৌসচিব,শিল্প সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নদীর পানি যেন দূষিত না হয় সে বিষয়ে পুলিশ দিয়ে নজরদারি করতে শ্যামপুর ও ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিল্পবর্জ্যের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বিআইডবি্লউটিএ, পরিবেশ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শ্যামপুর এলাকায় নদীতে শিল্পবর্জ্য ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। ওই এলাকায় প্রতিমাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২২ জানুয়ারি একটি দৈনিকে শ্যামপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে শিল্পবর্জ্য নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।