সুন্দরবনের ৬০৭৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ও বঙ্গোপসাগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জল ও বনদস্যুদের একাধিক গ্রুপ। তাদের হাতে অপহৃত ও নির্যাতিত হচ্ছেন বহু জেলে। ঘটছে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তারা পাল্টেছে মুক্তিপণ আদায়ের পদ্ধতি। তাই সহসাই তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দস্যুতা রোধের দায়িত্ব মূলত কোস্টগার্ডের হলেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে র্যাব সদস্যরা। ২০০৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বরের পর এ পর্যন্ত র্যাবসহ শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দস্যু বাহিনীর ১৩ দলনেতাসহ ৫৪ জন নিহত হলেও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য মতে জল ও বনদস্যুদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রায় ১৫০ আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ সদস্যের নাসির-ফরহাদ বাহিনীর কাছে ২০টি, জাহাঙ্গীর বাহিনীর ৪০ সদস্যের ৪০টি, মোর্তুজা বাহিনীর ৩০-৩৫ সদস্যের ৪০ থেকে ৪৫টি ও শীর্ষ বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ সদস্যের হাতে অস্ত্র রয়েছে ৩০টি। সূত্র জানায়, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া,
কাটেশ্বর ও কোবাডাক এলাকায় নাসির-ফরহাদ, খুলনা রেঞ্জের কয়রা, খাসীটানা, জয়সিং, বজবজা, শংকর বাড়িয়া ও বেদখাসী এলাকায় জাহাঙ্গীর, চাঁদপাই রেঞ্জের জংড়া, ভদ্রা, হরিণটানা, চাঁদপাই, নন্দবালা ও আন্দারমানিক এলাকায় মোর্তুজা, বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের তীরছড়া, কটকা, শেলারচর, নারকেলবাড়িয়া ও নীলবাড়িয়া এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে শীর্ষ ওরফে রেজাউল বাহিনী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য গত বছর সুন্দরবন ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ১২৬৬ জন জেলেকে অপহরণ করে দস্যুরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে দস্যুতা রোধে সুন্দরবনের দুবলা চরে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে র্যাব-৮। এতে দস্যুদের অপতৎপরতা কমলেও সেখানে কোনো পাকা স্থাপনা না থাকায় অস্ত্র-গোলাবারুদ রক্ষার তাগিদে ১৫ জুলাই ক্যাম্পটি গুটিয়ে আনা হয়েছে। এরপর আগস্টের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে ৯০ জন জেলেকে। আজ র্যাব-৮'র ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।এ উপলক্ষে নগরীর রূপাতলীতে র্যাবের অস্থায়ী সদর দফতরে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।