আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঁধন ছেঁড়া মহাকাব্যিক দূরন্ত এক মানুষ



কিছু মানুষ জন্ম নেয় বাউণ্ডেল হওয়ার জন্য। নিয়মের বাইরে চলার জন্য। নিয়ম তাদের পায়ে শিকল পড়াতে পারে না। স্বচ্ছ কাঁচের মতন নীল আকাশ মন, ভাবনার বুদবুদে আচ্ছন্ন। চারপাশের নিয়ম তত্ত্ব অস্থির উন্মাদ করে দেয় স্বচ্ছ চিন্তা নিজের ভাবনায় ভেসে যাওয়ার পদে পদে, বেগবান ঢেউ বাঁধা পায় বারেবারে নিয়ম বেড়াজালে।

তবু কী থেমে থাকে মন? তবু কী মেঘ শূন্য নিরাভরণ হয় চিন্তার দ্যোতনা।
সব ছাপিয়ে সব, বাঁধার প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে মন ছুটে চলে, আপন গতি পথে যেদিকে যেতে চায়। যে পথে কেউ যায়নি আগে যে পথের কথা কেউ শুনেনি। কী মন্ত্রবলে সে পথ পানে আলো জ্বেলে দেয় ভিতর থেকে, পথের সন্ধানে উতলা হয় উদগ্রীব মানুষ। বাউণ্ডেল বোহেমিয়ান হয়ে আপনভোলা, নিজের খেয়ালে পথের সন্ধানে বেরুতে চায়।

নিজের ভিতর থেকে দেখা পথের খোঁজে। সকল বাঁধার পাহাড় মাড়িয়ে ছুটে চলে আপন ঠিকানায়।
ভিতরের তাড়না যাতনার যন্ত্রনা সবাইকে দেখাত চায়। কিন্তু এক ঘোর নিয়মের চাদরে জড়িয়ে থাকা মানুষ তার কাছাকাছিও যেতে পারে না। বুঝতে পারে না কী অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ শিখার মতন তরঙ্গ বয়ে বেড়াচ্ছে মস্তিষ্কের কোষে কোষে।


মানুষ শুধু ভাবে ও এমন কেন? নিয়মের চুড়ি পড়িয়ে কলুর বলদের মতন চলার পথ বাতলে দিতে চায় বারেবারে।
এমন তেজস্বী এক মস্তিষ্ক জন্ম নেয় সাগরদাঁড়ির সমৃদ্ধ কায়স্ত পরিবারে বাবা রাজনারায়ণ বসু আর মা জাহ্নবী দেবীর কোলে ১৮২৪ এর ২৫ শে জানুয়ারীর শুভলগ্নে। তার নাম রাখা হয় মধুসূদন দত্ত। প্রভাবশালী নামকরা উকিলের একমাত্র তনয়। আদরে, উল্লাসে, ভালোবাসায় নিজের সব অস্থিরতা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েও প্রচণ্ড মনঃকষ্টে ভোগে।

যার সবটা কাউকে বুঝিয়ে উঠতে পারে না। অথবা কেউ বুঝতে চায়না গতানুগতিক নিয়ম কাটিয়ে, কী অসম্ভব ধারণা ধারণ করে ছটফটে অনিয়মে বাঁধা মানুষটি।
যখন যেমন ইচ্ছা চলা মধুর জন্য সহজ ছিল পারিবারিক সহযোগিতায়। বিত্তবান বাবা উকিল রাজনারায়ণ বসু একমাত্র তনয় মধুর সব আবদার মেটানোর অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন। পরিবেশ এবং প্রতিপত্তি ও ছিল সহায়।

পিতা পুত্রের সম্পর্ক ছিল মধুর বন্ধুর মতন। মেধা সম্পন্ন পুত্রের সহিত্যচর্চায় অল্প বয়সে সুনাম সুখ্যাতি পিতা উপভোগ করতেন।
যখন তার কথা পড়ি অবাক হয়ে ভাবি কতটা আত্মসচেতন, নতুনের ধারক ছিলেন। মাথার ভিতর কী ভয়াবহ চিন্তার ছটফটানি ছিল। হতে হবে সব কিছুই ব্যতিক্রমী তাঁর জীবনে অন্যদের মতন নয়।

অতি অল্প বয়সেই তার চিন্তা চেতনা নিজ ধারণায় জনসমুখে তাকে ব্যতিক্রমী রূপে পরিচয় করিয়ে দেয়। তৎকালীন সময়ে ধনাঢ্য পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তানের আচরণ যা উশৃঙ্খল জীবন যাপন হিসাবেই অনেকটা বিস্তার পায় সাধারনের মনে।
সময়টা বৈরী স্বাধীন ভারতবর্ষ দখল করে আছে সাত সমুদ্র তের নদীর উপারের মানুষ। তাদের আচার আচরণ চিন্তা ভিন্ন। ওরা তখন রাজা মানুষ আর ভারতবর্ষের মানুষ তাদের চোখে নীচু শ্রেণীর।

মানুষে মানুষে বিভেদ অনেক। মধুর মনে এই উঁচু নীচুর প্রভেদ কাজ করে না। ইংরেজদের কথা বলা সাহিত্য তাকে আকৃষ্ট করে দুর্বিনীত ভাবে। সেই সাথে বাংলাভাষা তখন তেমন সাহিত্য উপযোগী বই বা ভাষার প্রচার সমৃদ্ধ ছিল না। স্ংস্কৃতির ভগ্ন ভাব এবং ভাষা নিয়েই কবিতা রচিত হচ্ছে।

একে মধুসূদনের সঠিক সাহিত্য রচনার ভাষা বলে মনে হয় না।
মধুর মনে ছিল আকাঙ্খা আর সবার চেয়ে ব্যাতিক্রমী কিছু করার, নিজেকে সর্বশ্রেষ্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার। অত্যন্ত মেধা সম্পন্ন মানুষটি মোটে আঠার বছর বয়সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন শুধু দেশের ভৌগলিক সীমারেখায় না। পড়ি দিতে হবে সাত সমুদ্র। ইংরেজ সমাজে শুধু নিজের নয় তথা সমুগ্র বাঙালি জাতির প্রচার প্রতিষ্ঠিত করার ঝোঁক লালন করেছিলেন মনে।



মধুর মা জাহ্নবী দেবী অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিক্ষিতা নারী ছিলেন জানা যায়। মধুর শিক্ষা জীবনের সূত্রপাত হয় মায়ের কাছে, মহাভারত, রামায়ন, পুরাণ পাঠ করে শুনাতেন মা জাহ্নবী দেবী, সে গল্পের আগ্রহ বুনে যায় তার ধমনীর প্রবাহে। পারিবারিক ভাবে মধু পেয়েছিলেন উদার সুযোগ সুবিধা। শেখপুরা মসজিদের বিদ্বান ইমাম, মুফতি লুৎফুল হকের, কাছে বাল্যজীবনের শিক্ষা শুরু হয় বাংলা, আরবী, ফারসী শিক্ষার মাধ্যমে। তথাকিত সংকীর্ণতার বাইরে মধুর পরিবার ছিল শিক্ষাদীক্ষা, চালচলনে অগ্রগামী।

এ বিষয়েও বেশ আভাস পাওয়া যায়। বাবার সাথে ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সম্ভ্রান্ত স্বচ্ছল উকিল, রাজনারায়ণ বসু, একমাত্র পুত্রের সকল ইচ্ছা পূরণের ব্যবস্থা করে রাখেন। শুধু শখ পূরণের উচ্ছন্নতা নয় শিক্ষার ব্যবস্থাপনাও করেছিলেন। মধুর বোহেমিয়ান স্বভাব ছিল জানার আগ্রহে অধীর।

নানা রঙের, বিন্যাসের আকৃতির পোষাক পড়া যেমন মধুর স্বভাব। নানান রকম নতুন কাজ করে যেমন বন্ধু এবং পরিবেশে তাক লাগানো মধুর ইচ্ছা। তেমন মাঝে মাঝে মধু হারিয়ে যেতো বইয়ের ছাপা অক্ষরের ভূবনে। নাওয়া খাওয়া ভুলে বিশাল বইয়ের শব্দপাঠে নিম্গ্ন মধু যেন ভুলে যেত পরিচিত চারপাশ। গ্রীক, লাতিন, সংস্কৃতি ভাষা শিক্ষা লাভ করে।

আরোহণ করে অন্য স্ংস্কৃতি মননে।

সাগরদাঁড়ি গ্রাম থেকে তের বছর বয়সে কলকাতার খিদিরপুর র্সাকুলা রোডের বাড়িতে জীবনযাপন শুরু হয় মধুর। স্থানীয় স্কুলে কিছুদিন পড়ালেখা করে তৎকালিন হিন্দু কলেজ, বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ালেখা করতে ভর্তি হন।
মেধাবী ছাত্র মদুসূদন দত্ত কলেজের অধ্যক্ষ ডি. এল. রিচার্ডসনের প্রিয়ছাত্র হয়ে উঠেন। রিচার্ডসনের কাছ থেকে আরোহন করেন কাব্যের নির্যাস।

কবিতার প্রতি বাড়তে থাকে তার উন্মাতাল আগ্রহ। সেই সময় ইংরেজীতে তিনি কবিতা রচনা করেন তা ছাপা হতো পত্রিকায়।
অবাধ স্বাধীনতা দেয়া আধুনিক বাবাও মাঝেমধ্যে মধুর গতি ধরতে পারতেন না। তেমনি মধু যখন নয় বছরের বালিকা বিবাহ করতেঅস¦ীকৃতি জানাল বাবার মনে ভয় হলো, মধুকে বিলাত পাঠালে হয়ত কোন অন্যধর্মের মেয়েকে বেশী বয়সের মেয়েকে সে বিয়ে করে ফেলবে। কিছু সংস্কার কাটানো সবার পক্ষে সম্ভব নয়।

মধুকে বিলাত পাঠানোর ইচ্ছা রাজনারায়ণ বসু তাই দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন। নিয়মমাফিক ভেবে রেখেছিলেন। বিবাহ হলে, সংসার ধর্মে মন দিলে ছেলে শান্ত হবে। তখন বিলাত ঘুরতে যেতে পারবে অনায়াসে। সব কিছুই স্বাভাবিক থাকবে।


নিয়তি মধুকে টানছে অন্য পথে। মধু তো আর পাঁচটা সাধারন মানুষ নয়। তাঁর মধ্যে অস্থিরতা নিয়ম না মানার, বহ্নিশিখা জ্বলছে ধিকধিক। মধুর মনে শান্তি নাই এই নিয়মের বন্ধনে আদরে সোহাগে। বাবার প্রচ- সহযোগিতায় অবাধ জীবন যাপন করেও বাবাকে তোয়াক্কা না করে নিজের সামর্থ্যে বিলাত যাওয়ার জন্য খৃষ্টান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মধু।

অন্তর্নিহিত ইচ্ছা ছিল খৃষ্টান জীবন যাপনে হিন্দুদের নানারকম বর্ণ প্রথার বাইরে এক সমৃদ্ধ সহজ সুষম জীবন পাওয়ার। সাথে আকাঙ্খা অন্যভাষায় লিখে সকলের মাঝে পৌঁছে দেয়া নিজেকে। সাথে পরিচিত করা বাঙালির গর্ব ব্রিটিশ মাঝে। মাত্র আঠারো বছর বয়সে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে খৃষ্টান হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। অচিরে সে সিদ্ধান্ত কার্যকরও করে ফেলেন।

নতুন নাম ধারন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত”। বাবা আদরের পুত্রকে ত্যাজ্য করেন। অনেক কিছু সংস্কার কাটিয়ে মেনে নেয়া সম্ভব নয় সবার পক্ষে। তেমনি হতাসা ছেকে ধরে রাজনারায়ণ বসুকেও অতি আদরের ছেলের ব্যবহারে। কিন্তু মেনে নিতে পারেননি অতি আধুনিক হয়েও ছেলের ধর্ম বিচ্যুতি।


দূরে থেকে যা সুন্দর আর সাবলীল মনে হয় কাছে তেমন থাকে না। বর্ণ বৈষম্য, নানা রকম জটিলতা খৃষ্টধর্ম মধুর কাজে সর্বগ্রাহী সমধর্ম হয়ে থাকে না। অনেক কিছুতেই বৈষম্য। সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অভাব অনুভব করেন।
খৃষ্টান হওয়ার পর ভাগ্যান্বসনে ( বর্তমানের চেন্নাই) মাদ্রাজ চলে যান মাইকেল।

সেখানে একটি স্কুলে ইংরেজীর শিক্ষকতা করেন। পত্রিকা সম্পাদনা করেন। লিখতে থাকেন ইংরেজিতে কবিতা। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে, প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ দ্যা ক্যাপটিভ লেডি”।
মাদ্রাজের জীবনে রেবেকা ম্যাকটিভিস নামের এক ইংরেজ ললনার সাথে প্রেম এবং প্রণয় হয়।

সাত বছরের বিবাহিত জীবনে দুই পুত্র সন্তান এবং দুই কন্যা সন্তান হয় তাদের। কিন্তু তারপরও সে সংসারে বিচ্ছেদ আসে।
এরপর ফরাসী তরুণী এমিলিয়া আঁরিয়েতা সোফিয়ার সাথে পরিচয় এবং প্রণয়। সোফিয়া ছিলেন মাইকেলের সত্যিকারের জীবন সঙ্গীনি বোহেমিয়ান এক মানুষকে বুঝেছিলেন ভালোবাসায়। কঠিন দরিদ্রতা, হতাশা মাঝে এক উচাটন জীবনের অস্থির সময়ে,মাইকেলের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আদরে ভালোবাসায়, সহানুভূতিতে তাঁর সুখে, দুঃখে যন্ত্রনায় জড়িয়ে ছিলেন সাথে।


সাতসাগর পাড়ি দেয়া ছিল এক সাংঘাতিক বিষয় সেই সময়ে ভারতীয়দের জন্য। মধুসূদন চলে যান সেই সাত সমুদ্রপাড়ি দিয়ে অন্যদেশে।
বিলাতের জীবনে সমন্বয়হীন সহমর্মিতাহীন এক দূর্মম জেলাসি উপলব্ধি করেন। কোন বিষয়ই সহজ ছিল না খৃষ্টান হয়ে তাদের মাঝে প্রবেশ করার পরও। বর্ণ বৈষম্য বড় বেশী প্রোকট ছিল।

প্রচণ্ড ক্ষমতাধর লেখকের পাত্তা ছিল না সে সমাজে। হতাসা আর দারিদ্র ছিল তার সারা সময়ের সঙ্গী বিলাতের জীবনে।
নিজের প্রথম কাব্য গ্রন্থ উপহার পাঠান প্রিয় বন্ধু গৌরদাস বসাককে। গৌর সে বই পাঠিয়ে দেয় জে. ই. ডি. বেথুন সাহেবকে। বেথুন সাহেব ব্রিটিসের রাজ কর্মী হয়েও ভারতীয় সংস্কৃতিতে এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতি সম্পন্য এবং আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

এদেশীয় মানুষের জীবন উন্নয়ন এবং সংস্কার সাধনের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন অনেক স্কুল, কলেজ, প্রতিষ্ঠান। বেথুন প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁর স্মৃতি ধরে রেখেছে আজও ভারতবর্ষে।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা পড়ে তিনি এই লেখার শক্তি পরম্ঙ্গতা অনুভব করে মুগ্ধ হন। তিনি চিঠি লিখে মাইকেলকে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন। ১৮৫৬ সনে মাইকেল স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

বাঙলাভাষায় কাব্য, সনেট, নাটক, সাহিত্য রচনা শুরু করেন। তাঁর পদচারনায় বাংলা সাহিত্য ভা-ার হয়ে উঠে সমৃদ্ধশীল। তাঁর লেখার নতুনরূপ বোদ্ধা সাহিত্য রসিকদের আকৃষ্ট করে। নতুন দিকনির্দশনায় এগিয়ে যায় বাংলা সাহিত্য তার হাত ধরে। ইংরেজী ফরাসী বিভিন্ন ভাষার অলঙ্করন সংযোগ করেন তিনি তার লেখায়।

যে বাংলা ভাষাকে তিনি মনে করতেন লেখা এবং বলার অযোগ্য। সেই ভাষাতেই সৃষ্টি করেন অমিত্রক্ষরে লেখা মেঘনাদবধ মহাকাব্য। রামায়ণ পুরাণের কাহিণী উপজীব্য করে গ্রীক রীতিতে লিখা হয় বাংলাভাষায়। সেই ভাষার মানুষের কাছে আদ্রিত হয় মূল্যায়িত হয় তার শ্রেষ্ঠত্ব।
কথিত আছে এক সাথে ছয়জনকে কাব্য, সনেট, নাটক, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ডিক্টেসন দিয়ে যেতেন লেখার জন্য।

একসাথে ছয়জন তার ভাবনাগুলো লিপিবদ্ধ করে যাচ্ছে একেক রকম ভাবে। একসাথে বিভিন্ন কাব্য, নাটক, সনেটের নির্ভুল ভাবে সাজিয়ে যাওয়ার পারোমাঙ্গতা মধুসূদনের মতন ক্ষণজন্মা কিছু মানুষের মধ্যেই থাকে। কষ্ট হয় এইসব ক্ষমতাধরদের কাটাতে হয় অর্থনৈতিক কষ্টে, দারিদ্রতায় জর্জরিত হয়ে। তাদের আকাশ ছোঁয়া ঐশ্বর্য হৃদয়ের, মানুষ সময় মতন অনুভব করতে পারে না। বরঞ্চ চেষ্টা চালায় নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে সীমিত করতে।

ভাবতে কষ্ট হয় কী পরিমাণ যন্ত্রনা বয়ে তবু রচনা করে গেছেন। অদ্ভুত সব লেখা। যদি তাদের কে সুযোগ দেয়া হতো ইচ্ছে মতন চলার না জানি কী দুরূহ সৃষ্টি সাধিত হতো তাঁর হাতে।
দুর্ভাগ্য আমাদের পৃথিবী ব্যাপী মানুষ কখনো বুঝতে পারেনি। অল্প কিছু ব্যাতিক্রমি মানুষের চিন্তা ভাবনা, সমসাময়িক সময়ে।

কিন্তু সেই সব মানুষ সকল বাঁধা বিপত্তির মাঝে বারেবারে নিজেদের মনের অলৌকিক মানসলোকে বিচরণ করে পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের পথ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।