আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে ব্যস্ত কূটনীতিকরা

রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড ও সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ-বিশ্লেষণে ব্যস্ত বিদেশি কূটনীতিকরা। বিভিন্ন রাষ্ট্র, জোট, সংস্থার বাংলাদেশ মিশন নানা বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জেনে নিজ নিজ দেশ ও ঊধর্্বতন মহলকে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধীপক্ষের কার্যক্রমও রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে মিশনগুলোর কর্মকর্তারা অভিন্ন এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বিদেশিদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণমূলক আরেকটি নির্বাচনের পরামর্শ আছে। তবে তা করতে সময়ের প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডের উপরই নির্ভর করবে কত দ্রুত সেই নির্বাচনের পথে এগোবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নির্বাচনের পর সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ সাধুবাদযোগ্য। বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের অবাধ চলাচল এবং শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মামলা ও জেল থেকে মুক্তির চলমান প্রক্রিয়াও ইতিবাচক। সেই সঙ্গে উভয় দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সংলাপের বিষয়টি উঠে আসাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কূটনীতিকরা। তাদের মতে, দুই পক্ষের শর্তগুলো নিয়েই আলোচনা বা সংলাপ জরুরি। তবে এ জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বেশ কয়েকজন কূটনীতিক একমত যে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তা চলতে থাকলে সংলাপ হবে। সূত্র মতে, ভূ-রাজনৈতিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে আগ্রহ। তবে সবারই আগ্রহ বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে। কারণ বড় প্রায় সব দেশেরই এখানে বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ আছে। তাই সবাই চায়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বমূখী কূটনীতিতে নতুন আগ্রহ সৃষ্টি হওয়াকে পশ্চিমা দেশগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের বিষয়ে অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক দুজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর প্রকাশ্যে বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো একে গুরুত্ব দিচ্ছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে সরকারের সব পদক্ষেপ। কূটনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সম্পর্কে নতুন মাত্রা আনতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রতিনিধি হিসেবে নতুন মুখ আনছে। সে হিসেবে পরিবর্তিত হতে পারেন টিকফার মতো গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করা সফল রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবি্লউ মোজেনা। ইতোমধ্যে নতুন মুখ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএসএইডের প্রশাসক পদে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার নতুন আবাসিক প্রতিনিধিও কাজ শুরু করেছেন। পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কোরিয়ার কোইকাতেও। যোগাযোগ করা হলে ইউরোপের একটি প্রভাবশালী দেশের পদস্থ এক কূটনীতিক বলেন, 'সংকটপূর্ণ সময় কাটিয়ে সরকার এখন গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছে। এ সময়ের জন্য সহায়তা করতে বিদেশি সহযোগী রাষ্ট্রগুলো যে প্রস্তুত তা ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।' নতুন সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে গত সপ্তাহজুড়েই বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। চলতি সপ্তাহেও এ ধারা চলবে। বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করে সরকারের একশ দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, কানাডার হিদার ক্রুডেন ও অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ উলকক। ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণও একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ, যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবি্লউ মোজেনার পরিবর্তে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জন ড্যানিলোইজ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.