মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী আদালতে সারাক্ষণ শান্ত ছিলেন। তবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর উচ্চৈঃস্বরে বলেন, আমি ন্যায়বিচার পাইনি। বিচারকের পরও বিচারক আছেন।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মতিউর রহমান নিজামী বলেন, 'আমার আইনজীবী দেবেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। যে রায় দেওয়া হয়েছে তা অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে।' এদিকে, রায়ের পর আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার আগে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর উচ্চৈঃস্বরে বলেন, 'আমি ন্যায়বিচার পাইনি। বিচারকের পরও বিচারক আছেন। আল্লাহ ও আখিরাতে সেই বিচারকের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাব। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, এই বিচারক যিনি অন্যায়ভাবে রায় দিয়েছেন, তারও যেন বিচার হয়। তার সন্তানরাও যেন এ অন্যায় বিচারের সাজা ভোগ করে।' তিনি বলেন, কাউকে খুশি করার জন্য এ রায় দেওয়া হয়েছে। তিনি যারা অস্ত্র এনেছিলেন তাদের বিচার চেয়েছেন।
আদালতে ছিলেন না বাদী ও আইও : রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন না তদন্ত কর্মকর্তা, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান চৌধুরী ও পৃথক দুটি মামলার বাদী, কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান। তিনি অস্ত্র আইনে ৪৩ এবং চোরাচালানের অভিযোগে ৪৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন একই থানায়। তিনি এখন কোথায় আছেন বলতে পারেননি প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা। তবে আদালতে উপস্থিত না থাকলেও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিআইডির সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'এ মামলার তদন্ত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে করতে পেরেছি, যার প্রতিফলন হয়েছে।' এদিকে, রায় ঘোষণার আগে থেকেই প্রশাসন ছিল সতর্কাবস্থায়। কোনো ধরনের নাশকতা এবং আতঙ্ক সৃষ্টি যাতে করতে না পারে সে জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। রায় প্রত্যাখ্যান করে আদালত ভবনের নিচে মিছিল-সমাবেশ করেছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এস ইউ এম নুরুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, মফিজুল হক ভূইয়া প্রমুখ। উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) রেজাউল মাসুদ বলেন, সকাল থেকে আদালত ভবন ও আশপাশ এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলেও তল্লাশি করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও আশপাশ এলাকায় প্রায় ৫০০ পুলিশ মোতায়েন ছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।