যখন আমি কোন সমস্যায় পড়ি তখনি এখানে লিখি
অনেক দিন পর আজ ব্লগে ঢুকলাম ঢুকেই যা বুঝলাম যেহুতু এখন রাজনীতি একটু ঠান্ডা আছে তাই তেমন চুলকানীর কোন বড় ইসু নাই। এখন ইসু যেটা সেটা হল শবি ড্রোন বানাইছে আর সেটা মিডিয়া খুব ফলাও করে প্রচার করেছে।
কেন প্রচার করল? যেটা নেটে সার্চ দিলে দুই মিনিটেই পাওয়া যায় তিন মিনিটেই বানানো যায়?
আমি যদিও সার্চ দেইনি কিন্তু দুই তিনটা পোস্টে যেই পরিমান লিন্ক দেখলাম তাই বিশ্বাস করেছি।
এখন বলি আমি জাফর ইকবালের ভক্ত। অন্ধ না।
তবে তার রাজাকার বিরোধীতা কিংবা জামায়াত বিরোধীতা সবই সাপোর্ট করি শুধু সমস্যা বাধে তখনই যখন তিনি জামায়াত বিরোধীতা করতে গিয়ে ইসলাম বিরোধীতা করে বসেন। এছারা তিনি মানুষ হিসেবে খুবই ভাল। যদিও আমি নিজে ওনাকে এখনও দেখিনি কিন্তু যারা দেখেছে তাদের কাছে শুনেছি( তাদের মধ্যে হুজুরর অভাব নাই)।
হতে পারে শাবি যে ড্রোন বানিয়েছে সেটা খুবই ইজি থ্রি-ইডিয়টে পাঁচ বছর আগেই দেখেছি। আর আজ আমি জানলাম যে সেটা নাকি নেটে ঘাটলে দশ বছর আগেই বানাতে পারতাম।
কিন্তু দুঃখের বিষয় শাবির এই বিষয়টা যদি মিডিয়া প্রচার না করত আমি জানতেই পারতামনা। আমিতো মনে করি এটাই অনেক সফলতা।
কারন পশ্চিমা বিশ্ব প্রায় সব গবেষনাই শেষ করে সেখেছে। আমরা এখনও অনেক কিছু কল্পনাই করতে পারিনা কিন্তু তারা শেষ করে রেখেছে। এখন কেউ যদি বলেন যে মিডিয়া তখনই ড্রোনের খবর প্রচার করতে পারবে যেদিন শাবি কিংবা বুয়েট এমন ড্রোন বানাবে যেটা পশ্চিমা ড্রোনকে পাল্লা দিবে তাহলে তো বলতে হয় যে আপনি অলীক কল্পনা করছেন কারন এক কালে তারাও এমন ড্রোন বানিয়েছিল যেটা আপনি এখন চাইলে দোকান থেকে কিছু জিনিস কিনে এনেই বানাতে পারেন।
এর জন্যে নেটেও ঢুকতে হবেনা। কিন্তু তারা সেখান থেকেই আস্তে আস্তে উপরে উঠেছে।
তাই আমি বলি যে শুরুটাতো করতে দিন। দশ বছর পর দেখবেন শাবি অথবা বুয়েট ঠিকই এমন ড্রোন বানাবে যেটা পশ্চিমাদের সাথে পাল্লা দিতে পারবে।
আর এখনই যদি বলেন যে এটাতো নেটে ঘাটলেই পাওয়া যায় তাহলে দশ বছর পর আমাদের উপর দিয়ে পশ্চিমা ড্রোন উড়ে গেলে আমরা জানতেই পারবনা।
কারন আমরা ভাবব যে নেটে সার্চ দিলেই জানা যায় যে কোন ড্রোন কোন দিক দিয়ে উড়ে যায়।
আমি মনে করি যে খালেদা হাসিনা ঝগড়াকে ফোকাস করার চেয়ে মিডিয়া যদি এই সব ছোট খাট জিনিসকে ফোকাস করত তাহলে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।