গুগলের যে প্রযুক্তি সক্ষমতা ও দক্ষ প্রকৌশলী রয়েছে তা দিয়ে সহজেই ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান তৈরি করা সম্ভব। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথেই রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামীতে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমানের যুগ আসছে। গোয়েন্দাগিরি, জরুরি অবস্থায় প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া, দুর্গম স্থানে সহজে যোগাযোগ সব কাজেই ড্রোনের ব্যবহার বাড়বে। তবে প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস অনলাইনে পণ্য ক্রেতাদের কাছে সহজে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ড্রোন ব্যবহারের কথা জানানোর পর এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গুগলের কর্মকর্তা অ্যান্ডি রুবিন জানিয়েছেন ড্রোন নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনার কথা।
গুগল এরমধ্যেই রোবট গবেষণায় জোর দিয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যেই নতুন প্রজন্মের রোবট তৈরি করতে পারে এমন সাতটি প্রতিষ্ঠান কিনেছে গুগল। গুগলের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড যাঁর হাত দিয়ে এসেছিল সেই অ্যান্ডি রুবিন এই রোবট প্রকল্পের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। অবশ্য, গুগল তাঁদের রোবট নিয়ে পরিকল্পনার কথা কঠোরভাবে গোপন রেখেছে।
এ বিষয়ে একেবারেই মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা রোবট প্রকল্পে গুগলের বিনিয়োগ দেখে ধারণা করছেন আগামী এক দশকের মধ্যে নতুন কিছু উপহার দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ডিজিটাল ব্যবসা বিষয়ক গবেষক অ্যান্ড্রু ম্যাকাফি জানিয়েছেন, গুগলের ক্ষেত্রে রিটেইল ব্যবসা ও পণ্য উত্পাদনের ক্ষেত্রে রোবোটিক্স প্রযুক্তিতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গুগল পণ্য উত্পাদনে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
ড্রোনের সম্ভাবনা সম্পর্কে অ্যান্ডি রুবিন গুগলের চালকবিহীন গাড়ির প্রসঙ্গ তুলে আনেন।
তাঁর মতে, ২০০৯ সালে গুগল যখন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি বা চালকবিহীন গাড়ি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল তখনও এটি অনেকেই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলেই ভাবত। এখন এটি মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। রুবিন জানান, বুদ্ধিমান রোবট তৈরির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ও সেন্সরের উন্নয়ন করার প্রয়োজন পড়বে। একদিন এই ক্ষেত্রটিতেও গুগল নজর দেবে বলে আশা করছেন রুবিন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘প্রাইম এয়ার’ নামে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমানের অভিনব ব্যবহারের কথা প্রকাশ করেন অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার মার্কিন প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস।
ক্ষুদ্র চালকবিহীন এ ড্রোনকে বলা হচ্ছে ‘অক্টোকপ্টার’ যা ছোট ছোট পণ্যের প্যাকেট মাত্র আধ ঘণ্টায় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।