মাঠে আবাহনীর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বা শত্রু কে? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে কাউকে সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে হয় না। কারণ ফুটবল, ক্রিকেট বা হকি মাঠে মোহামেডান-আবাহনী চেনা শত্রু। কিন্তু এবার হকিতে মোহামেডান নয়, আবাহনীর শত্রু বনে গেছে পুরান ঢাকার ঊষা ক্রীড়াচক্র। মোহামেডান না খেলাতেই এমনটি হয়েছে। ক্লাব কাপে দু'দল ফাইনাল খেলেছে। লিগেও শিরোপা জিততে তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা লিগে বাকি যে পাঁচ দল রয়েছে তাদের শিরোপা জেতার সামর্থ্যই নেই। তাই গতকাল গ্রিন ডেল্টা প্রিমিয়ার লিগের দু'দলের লড়াইটি শিরোপার ড্রেস রিহার্সলে পরিণত হয়েছিল। যারাই জিতবে তারাই শীর্ষে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করতে পারবে।
লিগে মোহামেডানের মতো বিখ্যাত দল নেই তারপরও আকর্ষণ ও উত্তেজনার কমতি নেই। আগেও লিগে আবাহনী-ঊষার ম্যাচে উত্তেজনা ছিল। কিন্তু এবারে একটু বাড়তি মনে হয়েছে। কারণও ছিল ম্যাচ যারা জিতবে তাদেরই শিরোপা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর দুই দলে চার জন করে পাকিস্তানি খেলাতে আকর্ষণ আরও বেড়ে গিয়েছিল। ক্লাব কাপের মতো লিগেও আবাহনীকে ধরাশায়ী করেছে ঊষা। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে ঊষা ২-০ গোলে আবাহনীকে পরাজিত করেছে। এ জয়ে ছয় ম্যাচে পুরো ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে পুরান ঢাকার দলটি। ৭০ মিনিটে লড়াইয়ে দু'দলই সমান প্রাধান্য বিস্তার করেছে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের শিরোপার কাছে নিয়ে গেছেন চয়নরা। ৩২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে দেশ পরিচিত খেলোয়াড় মামুনুর রহমান চয়ন গোল করে দলকে এগিয়ে রাখেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিটে আরেক তারকা খেলোয়াড় জাহিদ বিন তালিব শুভ ঊষার পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।