বাদশা আবদুল্লাহর নির্দেশে রাজধানী রিয়াদে কিং ফাহাদ মেডিকেল সিটিতে (কেএফএমসি) তার চিকিৎসা হয়।
২০১৩ সালের অগাস্টে খালিদ মোহসেন আল শেরি নামের ওই ব্যক্তিকে উদ্বিগ্ন বাদশা চিকিৎসা নেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন বলে সোমবার জানিয়েছে এনডিটিভি।
সৌদি আরবের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিজানের বাসিন্দা শেরি অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। কেএফএমসিতে বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে তার ওজন ৬১০ কেজি থেকে কমিয়ে ২৯০ কেজিতে আনা হয়।
মাত্র চার মাসে ৩২০ কেজি ওজন কমানো একটি রেকর্ড বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
শেরির চিকিৎসা একটি অগ্রবর্তী পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএফএমসি’র স্থূলতা ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা আইয়েদ আল কাহতানি।
শেরির হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে, তার পেশির শক্তি ফিরে আসছে এবং সে পা নাড়াতে পারছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক দল।
ডা. কাতানি বলেন, “আমরা তার চলাফেরার জন্য একটি বিশাল হুইল চেয়ার বানিয়ে দিয়েছি। এই চেয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুইল চেয়ার, এটিও একটি রেকর্ড। ”
২১ জন চিকিৎসক ও ১৫ জন নার্সের একটি দল সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।
এছাড়া তার মাও রয়েছেন সঙ্গে।
চিকিৎসার প্রথম তিনমাসে তার ১৫০ কেজি ওজন কমানো হয়। আর পরবর্তী ১৭০ কেজি ওজন কমানোর জন্য শেরির পেটে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বিশেষ খাবার শেরিকে খাওয়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাতানি।
চিকিৎসার আগে একসঙ্গে তিনটি বিছানায় ঘুমাতেন শেরি, এখন একটি বিছানাতেই এঁটে যাচ্ছেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।