আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেয়ার জন্য সমালোচিত দেশ তুরস্ক আহবান জানিয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের।
কিন্তু ভিতরের খবর জানেন কি?
চলতি মাসের শুরুতেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের তুরস্ক শাখার উদ্দ্যোগে ও সেদেশের সরকারের সহায়তায় সশস্ত্র গ্রুপ হামাসসহ আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগ্রুপ তুরস্কে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে সমাবেশ করে। ন্যাটোর মত সামরিক জোটের সাথে যুক্ত থেকেও তুরস্ক মদদ দিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে।
এরই সুত্রধরে চলতি মাসেই বাংলাদেশের আইনের প্রতিবৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশে যুদ্ধাপরাধ বিরোধী জনমত গঠনের জন্য কাজ করেছে তুরস্ক সরকারের মদদপুস্ট একাধিক এনজিও।
সর্বশেষ, দেশটির পক্ষ থেকে সরকারিভাবে আবেদন জানানো হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক ও বিচারাধীন গোলাম আযমকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ না দেওয়ার জন্য কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাষ্ট্র তুরস্কের রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ গুলের অনুরোধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলার মানুষ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সরকারকে লেকচার দেয়, গোলাম আজম আর নিজামীর বিচার বিষয়ে। খবরটা পড়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝলাম না।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম জেনোসাইডের কারিগর এই তুর্কিরাই।
আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে ১৫ লক্ষ আর্মেনীয়দের রক্ত ঝরিয়ে আধুনিক তুরস্কের যাত্রা শুরু।
১৯১৯ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত তুরস্ক প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনীয়কে হত্যা করেছে—এখন পর্যন্ত যার বিচার হয়নি। আর্মেনিয়ার মানুষ প্রায় ১০০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিচার দাবি করে আসছে। এখনো তুরস্ক নির্বিচারে কুর্দিদের হত্যা করছে।
এই দেশে আর্মেনীয় গণহত্যার বিরুদ্ধে উচ্চারণের জন্যে ২০০৫ সালে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল নোবেল বিজয়ী লেখক ওরহান পামুক -কে।
একই কারণে ২০০৭ সালে খুন হন আর্মেনীয় বংশোদ্ভুত তুর্কি সাংবাদিক হ্রান্ত দিংক (Hrant Dink) । আজ পর্যন্ত গণহত্যার জন্যে ক্ষমা চাওয়া দুরে থাক, তার কোন স্বীকৃতি দিতেই তুর্কি সরকার নারাজ।
তাইতো এক আপরাধী অন্যের জন্য সুপারিস
কয়েক মাস আগে আল জাযিরা টেলিভিশনে একটি মর্মস্পর্শী প্রামান্যচিত্র দেখানো হয়েছিল – Grandma’s Tattoos । আর্মেনীয় ডকুমেন্টারি নির্মাতা সুজান খার্দালিয়ান তার নিজের পরিবারে মধ্যে অত্যাচার, ধর্ষণ, গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে বের করেন ৪৫ মিনিটের এই প্রামান্যচিত্রে। ১৯১৫-র আর্মেনীয় নিপীড়নের সাথে ১৯৭১-র বাঙালি নিপীড়নের মিল দেখে হতবাক হতে হয়।
ICT নিয়ে তুর্কীর দেখাদেখি সৌদি, মার্কিনরাও মঞ্চে উদয় হতে পারে কারন সামরিক স্বার্থ জড়িত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।