মানুষ স্বপ্ন দেখে। প্রতিদিন দেখে, প্রতিরাতে দেখে। বাসে বসে দেখে, হাঁটতে হাঁটতে দেখে, কথা বলতে-শুনতে দেখে। মানুষ হাজার রকমের স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নের অনেক প্রকার ভেদ আছে।
আমি সেই নানাবিদ প্রকার ভেদে যাবো না। আসলে গেলে গুছায় লিখতে পারবো না। অনেক এলোমেলে হয়ে যাবে। তবে আমি আমার বন্ধুদের মাঝে আড্ডা ছলে স্বপ্ন নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আড্ডা শুরু হয় গুলশান ২ এর মোড়ে রুপালী ব্যাংকের পিছনে।
আড্ডার বিষয় দিবা স্বপ্ন। আমরা সবাই দিবা স্বপ্ন দেখি। কেউ কম কেউ বা বেশি। যারা কম দেখে তারা দাবী করে তারা অনেক কাজে থাকে, তাই দিবা স্বপ্ন দেখার টাইম পায় না। তারা আরও মনে করে যারা অলস ভাবে টাইম কাটায় তারা দিবা স্বপ্ন বেশি দেখে।
এতে তারা বাস্তবের তুলনায় কল্পনায় বেশি সময় কাটায়। জীবনের জন্য দরকারী কাজ গুলা করতে পারে না। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ডাকার জন্য দিবা স্বপ্ন দেখে।
আরেক দল মনে করে তারা স্বপ্ন বিলাসী মানুষ। স্বপ্ন ও বাস্তবতা দুটা এক করে বেঁচে থাকে।
শুধু বাস্তবতা নিয়ে থাকলে জীবনের মূল রস আহরণ করা যায় না। কেবল মাত্র স্বপ্নের (যে কোন) জগত জীবনের মূল রস আহরণ করতে মূল ভূমিকা পালন করে। স্বপ্ন হচ্ছে আরেকটা জগত। যারা দিবা স্বপ্ন দেখে না তারা ওই স্বপ্নের জগতটাকে খুব মিস করে। আমারা দুই জগতে বাস করি, তারা করে একটা জগতে।
মানুষ বাঁচে কয় দিন, দুই জগতে বাস না করতে পারলে একটা দুঃখ রয়ে যাবে সব সময়। দিবা স্বপ্নের মাঝে আমরা অনুপ্রেরণা পাই এগিয়ে যাবার। আমি দিবা শপ্ন দেখে আর চিন্তা করে দুই বছর পর আমি কোথায় যেতে চায়, নিজেকে কোথায় দেখেতে চাই।
শেষে আমি নিজে বুঝতে পারলাম না আমি নিজে কি করি বা করা উচিত। আমি আমিও এখন অনেক বেশি দিবা স্বপ্ন দেখি, আগে দেখতাম না।
আমার স্বপ্ন টা একটা মেয়ে নিয়ে। আমি টাকে ভালবাসি। আমি স্বপ্ন দেখি সে একদিন আমাকে ভালবাসবে, আমার পাশে দাঁড়াবে। আমার দিবা স্বপ্ন এতটুকু।
সবাই ভালো থাকবেন।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।