সিলেট নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাাই এলাকায় জমি দখল করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ১১ ছাত্রলীগ কর্মীকে গতকাল জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ১০/১২টি মোটরসাইকেলযোগে ঝুগীটিলায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা এসে ধাওয়া দিলে কয়েকজন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেলেও বাকিরা আটকা পড়ে। এ সময় এলাকাবাসী ৬টি মোটরসাইকেলসহ আটক ১১ ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেন। আটককৃতরা হলেন_ নগরীর হাজিপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে হায়দার আহমদ (২০), লন্ডনী রোডের ফয়জুর রহমানের ছেলে জুনেদ আহমদ (২২), সাজ্জাদ আলীর ছেলে ইমদাদুল হক (২৬), কাচী মিয়ার ছেলে মাসুদ আহমদ (২০), ইলিয়াছ আহমদেও ছেলে শিপলু আহমদ (২০), আশরাফ আলীর ছেলে আকরাম হোসেন (২১), পাঠানটোলার জামাল পাশার ছেলে আমির আহমদ অভি (২৬), হাউজিং এস্টেটের মৃত মাওলানা ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মহিউদ্দিন ফাহমি (৩০), করেরপাড়ার সন্তু দে'র ছেলে সৌরব দে (২৬), হাজীপাড়ার মিছির আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (২৪), নীলাচল এলাকার মৃত রইছ মিয়ার ছেলে ছুবান আলী (২৩) ও পশ্চিম সুবিধবাজারের নুরুল আলমের ছেলে আবুল কালাম তুহিন (২৪)। এরা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় সেলিনা খান বিমানবন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলা নথিভুক্ত না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদেও গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বিমানবন্দর থানার ওসি আক্তার হোসেনের অপসারণ দাবিতে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত আম্বরখানা- শাহী ইদগাহ সড়কে অবরোধ করে।

পরে বিমানবন্দর থানার সহকারী কমিশনার দেবজিৎ সিং চৌধুরী মাইকে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন। যুগীটিলার মালিক দাবিদার মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান জানান, ছাত্রলীগ দর্শন দেউড়ি গ্রুপের ক্যাডাররা তার ভাড়াটিয়াদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। এলাকাবাসী এগিয়ে না এলে সন্ত্রাসীরা তার বসতভিটায় হামলা করত। বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, 'জমি দখলের চেষ্টাকালে জনতা ১১ যুবককে পুলিশে সোপর্দ করে। আমরা আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছি।