বরিশালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৩ জন আহত হয়। বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে যুব ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের জুবায়ের ও মুন্না এবং যুবলীগের সিজান আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গতকাল বেলা ২টার দিকে নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশারের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ৩ জন এবং হামলাকারী বি এম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষার প্রত্যেকেই বরিশাল সদর আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম জানান, বরিশাল ও ঝালকাঠিতে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য গত (ডিসেম্বর) মাসে ১১ গ্রুপে ৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর বিপরীতে গত সোমবার দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ১০৬টি দরপত্র জমা পড়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১১ গ্রুপের এ কাজগুলো 'গুছ' করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পৃথক ৩টি গ্রুপ। এ ৩ গ্রুপের সদস্য ব্যতীত অন্য কোনো ঠিকাদার ১১ গ্রুপ কাজের দরপত্র জমা দিতে পারেনি। মঈন তুষার ৭ গ্রুপ কাজের দরপত্র জমা দেন পে-অর্ডারসহ।
অপরদিকে যুবলীগ নেতা সোয়েব আহম্মেদ সিজান ৮টি গ্রুপের বিপরীতে দরপত্র জমা দিলেও পে-অর্ডার জমা দিয়েছেন মাত্র ৪টি। নিয়মনীতি ভঙ্গ করে গতকাল বাকি চারটি কাজের পে-অর্ডার জমা দিতে সিজান নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশারের বাসভবনে গেলে ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষার, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ মুন্না, জুবায়ের আলম, নূর-আল সাঈদীসহ ৭-৮ জন তাকে (সিজানকে) বাধা দেন।
এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিজানকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের ভাতিজা পরিচয়দানকারী সোয়েব আহম্মেদ সিজান জানান, ব্যক্তিগত কাজে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসায় গেলে মঈন তুষার ও মুন্না সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। টেন্ডারবাজিতে বাধা দেওয়ায় এ হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ মুন্না হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, সিজান পে-অর্ডার ছাড়া দরপত্র জমা দিয়ে একদিন পর নিয়ম বহির্ভূতভাবে পে-অর্ডার জমা দিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসায় গিয়েছিলেন। এতে বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর হামলা চালালে তা প্রতিহত করেন। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার জানান, তার বাসার বাইরে মারামারি হয়েছে। তবে কে বা কারা এবং কী কারণে মারামারি করেছে তার জানা নেই।
কোতোয়ালি থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, ব্রাউন কম্পাউন্ডে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।