ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের টিকারী গ্রামে গত রাত ৮টার দিকে আরিফুল ইসলাম (২৩) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। নিহত আরিফুল সদর উপজেলার টিকারী গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক গ্রুপের সমর্থক। এ সময় আরো ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেলের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, পূর্ব ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ শিকদারের ভাতিজা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল মালেকের সমর্থক সাহেব আলীর তর্কবির্তক হয়। একপর্যায়ে শরিফুল শিকদার সাহেব আলীর মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে।
পরে শরিফুল টিকারী বাজারে একটি চায়ের দোকানে আসা মাত্রই মালেক গ্রুপ সমর্থকেরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। এ ঘটনায় জের ধরে রাত ৮টার দিকে চেয়ারম্যান শহিদ শিকদারের সমর্থকেরা অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে টিকারী গ্রামের কলেজপাড়ায় মালেক গ্রুপের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় ও গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে আরিফ নিহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ হন টিকারী গ্রামের হয়ে শাহ আলম, শাহবুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, মোজাম্মেল ও শফিকুর রহমানসহ ৬ জন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।