নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের কার্যকরী সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গতকাল সন্ধ্যায় দুই নেতার কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়কে কেন্দ্র করে বিভক্ত নেতা-কর্মীরা হট্টগোল ও হাতাহাতিতে জড়ান বলে একাধিক কর্মী জানান। তারা বলেন, নবম সংসদ নির্বাচনে জেলার সব আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। দশম সংসদ নির্বাচনে পাঁচটি আসনের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হলে তিনটির দুটিতেই নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি হয়। অভিযোগ রয়েছে, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করায় পরাজয় হয়। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার ঘোষণায় কোন্দলের বিষয়টি ফের সামনে এসেছে।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের যুববিষয়ক সম্পাদক নাসিম বলেন, 'নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনটি শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়ায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ব্যথিত হয়েছেন।' তার বক্তব্যের সমালোচনা করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ তোলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী। নেতা-কর্মীরা এ সময় পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে হট্টগোল-হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। সাময়িক সময়ের জন্য সভার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক মতিন ভূইয়া, শিবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূইয়া মোহনসহ কার্যকরী কমিটির সদস্যরা এতে অংশ নেন। অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, 'সংসদ নির্বাচনে যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।