থলের বিড়াল খুজতেছি
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০১৪ মৌসুমের ভেন্যু হিসেবে ভারতের বাইরে বিকল্প হিসেবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী বুধবার ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠেয় খেলোয়াড় নিলাম শেষ হওয়ার পর বিকল্প ভেন্যুর বিষয়ে আলোচনায় বসবে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা জানান, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ভারতের আগামী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকায় এখনো টুর্নামেন্টের সূচি ও ভেন্যু করতে পারেনি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৬ এপ্রিল।
১০ তারিখের দিকে আইপিল শুরু হবে এবং আয়োজকরা বিকল্প ভেন্যুগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছে।
বিসিসিআইর এক কর্মকর্তা জানান, আয়োজক হিসেবে কোন দেশ ফেভারিট এখানে তার কোনো প্রশ্ন নেই। এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কথা ভাবছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে লজিস্টিক সাপোর্ট ও সময়ের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে এ লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভালো অবস্থানে আছে।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতও বিবেচনায় আছে। টুর্নামেন্টে অনেক সংখ্যক ম্যাচ থাকবে। সুতরাং গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় আমরা সব বিষয়ে আলোচনা করবো।
ভারতের বাইরে ৩ দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কিছুটা শংকা রয়েছে। সেখানে নিশ্চিত কিছু বাধা রয়েছে।
আইপিএলের ভিতরকার একটি সূত্রের মতে, অনেকগুলো সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ভায়াবল নয়। বিগত দিনে মধ্যপ্রাচ্যের ভেন্যুগুলো খুব বেশি দর্শক সহায়ক নয়।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বলা যায়, এখানে ২টি বড় বাধা রয়েছে। এখানে চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর এশিয়া কাপ এবং তারপর টি-২০ বিশ্বকাপের মতো ৩টি বড় ইভেন্ট রয়েছে। সুতরাং এ ইভেন্টগুলোর পর আইপিএলের সময় পিচগুলো ভালো থাকবে না।
এছাড়া পাঁচ তারকা কিংবা সাত তারকা হোটেলের সীমাবদ্ধতার কারণে ঢাকা কিংবা আশপাশে আইপিএল আয়োজন কঠিন হবে।
অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গত সপ্তাহে আইপিএল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট তাদের কতিপয় প্রতিনিধিকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
নিজ দেশে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ম্যাচ আয়োজনের আশা করছে বিসিসিআই। তবে নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের তারিখের ওপর। দেশে-বিদেশে ২ ভাগে অনুষ্ঠিত হতে পারে টুর্নামেন্ট।
বিসিসিআইয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন হলে টুর্নামেন্টের প্রথম অংশ বিদেশে আয়োজন করা হবে। তবে নির্বাচন মে মাসে হলে প্রথম দিকের কিছু ম্যাচ আমরা দেশে আয়োজন করতে পারি।
বিসিসিআই এ বছর যদি দেশের বাইরে আয়োজন করতে বাধ্য হয়, তবে তা হবে দ্বিতীয়বারের মতো। দেশে সাধারণ নির্বাচনের জন্য ও ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ২০০৯ সালে দ্বিতীয় আসরটি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
পাঠকদের কাছে আমার প্রশ্ন কে কী বুঝলেন বলেনতো দেখি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।