মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। সাংবাদিকদের জন্য বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সংগঠন।
সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিপর্ণ দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কভিত্তিক খ্যাতনামা সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) ২০১৩ সালে সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ যে তালিকা করেছে তার অন্যতম হলো বাংলাদেশ।
তালিকায় সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ ১৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বাদশ স্থানে।
সিপিজের তালিকায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া। এরপরেই রয়েছে ইরাক, মিশর, পাকিস্তান, সোমালিয়া, ভারত, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, রাশিয়া, মালি ও তুরস্কের নাম।
সিপিজে জানায়, অনলাইন সাংবাদিকদের ওপর যে তিনটি দেশের সরকার ‘দমনপীড়ন’ চালাচ্ছে তাদের একটি হলো বাংলাদেশ। এই তালিকায় আরও রয়েছে রাশিয়া ও ভিয়েতনামের নামে।
সিপিজে জানায়, ২০১৩ সালে বিশ্বে প্রায় ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ সময় ২১১ জন সাংবাদিককে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এদের অন্যতম আমার দেশ সম্পাদক মজলুম সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান।
সিপিজে মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার সংক্রান্ত ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে গত বছর এপ্রিলে সরকার বিরোধী দল সমর্থক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তার অফিস থেকে গ্রেফতার করে।
সিপিজে জানায়, শাহবাগীদের কড়া সমালোচনা করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিপিজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতির স্কাইপ কেলেঙ্কারি প্রকাশের জন্যও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অথচ ওই ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ আদালতে সরকারের প্রতি পক্ষপাত নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করায় ২০১০ সালের জুনেও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তিনি ১০ মাস জেল খাটেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে খবর প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে সিপিজে জানায়, গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চারটি বিরোধী দল সমর্থক টিভি চ্যানেল।
১ম পোষ্ট এখানেই সমাপ্ত।
================================
একের পর এক মিত্রতার নানা কৌশল অবলম্বন করা হলেও কোনো সমঝোতা ছাড়াই তিস্তা নদী কার্যত দখল করে নিচ্ছে ভারতীয়রা। এই আগ্রাসী তৎপরতা দৃশ্যমান হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন জোরালো প্রতিবাদ না করায় হতবাক তিস্তা পাড়ের অবহেলিত হাজার হাজার মানুষ।
নদী পাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারত প্রতিনিয়ত তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন করছে। লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার জেগে উঠা চর নিজেদের দখলে রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানি কমে যাওয়ায় বিএসএফ সদস্যরা বড় বড় বোল্ডার ফেলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে তিস্তা নদীকে ক্রমেই দহগ্রামের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় পুরো তিস্তা নদীই ভারতের দখলে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল ।
তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিয়িত ভারত সীমানা ঠেলছে বাংলাদেশের দিকে।
তিনদিকে ভারতীয় ভূখণ্ড এবং একদিকে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের ফলে ইতোমধ্যে বহুল আলোচিত ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, জেগে উঠা তিস্তার চরগুলো বিএসএফ তাদের দখলে রেখেছে। এভাবে চলতে থাকলে ঐতিহ্যবাহী দহগ্রাম ছিটমহলটি ভারতের দখলে চলে যেতে পারে।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে আরো বলেন, নদীকে ভারতের দখলের কবল থেকে রক্ষা করতে হলে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। অন্যথায় তিস্তা নদী যে কোন সময়ে ভারতের সীমানার ভেতরে চলে যাবে।
দহগ্রাম সংগ্রাম কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজানুর রহমান রেজা জানান, দহগ্রাম ছিটমহল রক্ষায় বাঁধের কোন বিকল্প নেই। তিনি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার অধিবাসী অলিমা বিবি (৬৬) ও নুরুল হকের (৬০) সঙ্গে। তারা জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরও নদীর ওই পাশে ঘর ছিল তাদের। নদী ভেঙ্গে ভেঙ্গে ক্রমেই বাংলাদেশের দিকে আসছে।
ওই পারে ভারত বলেই আশ্রয় নিয়েছেন তারা এই পারে। আর এভাবেই বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করে ভারতীয়রা নির্মাণ করছেন বিভিন্ন স্থাপনা।
তারা জানান, তিস্তা নদীতে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে বিএসএফ। কিন্তু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির পক্ষ থেকে তিস্তা নদীতে কোনো টহলের ব্যবস্থা নেই। লালমনিরহাটের নদী পাড়ের মানুষজন তিস্তা নদীকে ভারতীয় আগ্রাসন থেকে রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছেন।
২য় পোষ্ট এখানেই সমাপ্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।