ফেসিয়ালের বিস্তারিত জানাচ্ছেন_ রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা
কথায় বলে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাই আমাদের জানা উচিত কীভাবে নিজেকে সুন্দর রাখা যায়। মানুষ সুন্দর হয়ে জন্মালেও যত্নবান না হলে সৌন্দর্য বেশিদিন টেকে না। আমরা অনেকেই মনে করি, গায়ের রং ফর্সা হলেই বুঝি সে সুন্দর। আসলে তা নয়। রং আপনার যাই হোক না কেন, যদি তাতে গ্ল্যামার বা লাবণ্য থাকে তাকেই আজকাল সুন্দর বলে। ঘোলাটে, নির্জীব, দাগযুক্ত ত্বক যেমন নিজের কাছে খারাপ লাগবে, তেমনি অন্যের কাছেও খারাপ লাগবে। আপনি যেমনই হোন না কেন, একটু চেষ্টা করলেই আপনি অনেকখানি আকর্ষণীয় হতে পারেন সবার কাছে। তার জন্য শুধু দরকার ধৈর্য ও নিয়ম মাফিক পরিচর্যা। 'মেয়েদের ২৩-২৪ বছর বয়স থেকেই বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম ইত্যাদির দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাহলে জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও নিজের রূপ এবং সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব। তাই সঠিক পদ্ধতি জেনে নিয়ে ধৈর্য ধরে নিজের পরিচর্যা করতে হবে। ত্বককে সুন্দর ও সতেজ রাখার জন্য আপনাকে জানতে হবে আপনার মুখমণ্ডলের ত্বক কী ধরনের। যেমন : স্বাভাবিক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক, শুষ্ক ত্বক, মিশ্র ত্বক, সেনসেটিভ ত্বক।
এবার আমরা জানব কোন ফেসিয়াল কোন ধরনের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য। যেমন :
গ্লোল্ড ফেসিয়াল : সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী শুধু সেনসেটিভ বা স্পর্শকাতর ত্বকে এই ফেসিয়াল করা যাবে না। এটা সব বয়সী ত্বকের জন্য নেওয়া যাবে। বিশেষ করে বিয়ের কনের জন্য গোল্ড ফেসিয়াল খুব ভালো ফলাফল দেবে। কারণ এটা ত্বকে সুন্দর একটা সোনালি আভা এনে দেয়।
পার্ল ফেসিয়াল : পার্ল ফেসিয়াল সব ধরনের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য, তবে স্পর্শকাতর ত্বকে এই ফেসিয়াল করা যাবে না। পার্ল ফেসিয়াল করার পর ত্বকে একটা হোয়াইটিশ আভা আসে এবং অনেক দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়।
অ্যালোভেরা ফেসিয়াল : যাদের ত্বকে বিভিন্ন প্রকার দাগ আছে তারা এই ফেসিয়াল নিতে পারেন। এতে করে ত্বকে ঈবষষ উবাবষড়ঢ? করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেসিয়াল খুবই উপকারী। তবে স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করা যাবে না। রোদে
পোড়া ভাব দূর করতেও এটি সাহায্য করে।
ফ্রুট ফেসিয়াল : এই ফেসিয়ালে যে মিঙ্ড ফ্রুট ক্রিম ব্যবহার করা হয় যা সব ধরনের ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষ করে ফ্রুট ফেসিয়াল ত্বকের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে। ত্বক টান টান রাখে। একমাত্র ফ্রুট ফেসিয়ালই স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য উপযোগী।
টিপস : কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বকের প্রকৃতি : সকাল বেলায় ঘুম ভাঙার পর মুখে পানি না দিয়ে একটা টিস্যু পেপার নিয়ে মুখের ওপর চেপে ধরুন। তারপর পেপারটি ভালো করে লক্ষ্য করুন। দেখবেন_
স্বাভাবিক ত্বক : টিস্যু পেপারে সামান্য তেলা ভাব দেখতে পাবেন।
শুষ্ক ত্বক : টিস্যু পেপারে তৈলাক্ত ভাব দেখা যাবে না।
তৈলাক্ত ত্বক : টিস্যু পেপারে বেশি পরিমাণে তৈলাক্ত ভাব দেখা যাবে। মিশ্র ত্বক : টিস্যু পেপারে বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন ছোপ ফুটে উঠবে। সর্বোপরি একটা বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল করতে হবে যে, আপনি
যদি ত্বকের ধরন, বয়স, পারিপাশ্বর্িকতা অনুযায়ী নিজের রূপচর্চার প্রতি যত্নশীল হন তাহলে আপনি দেখতে যেমনই হোন না কেন, সবার মাঝে আপনি হবেন সবচেয়ে আকর্ষণীয়। মডেল : পরীমনি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।