গতবারের তুলনায় আসন্ন ফুটবল মৌসুমে কিছুটা শক্তিশালী দল গড়ছে মুক্তিযোদ্ধা। এ লক্ষ্যে তারা দেশের তারকা গোলরক্ষক আমিনুল, স্ট্রাইকার এনামুলসহ বেশ ক'জন খেলোয়াড়কে দলে টেনেছে। প্রশ্ন উঠেছে গেল মৌসুমের পেমেন্ট নিয়ে। মুক্তিযোদ্ধার ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা চাচ্ছেন পুরনো বেশ ক'জন খেলোয়াড়কে বিদায় জানাতে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন দীর্ঘদিন থাকা স্ট্রাইকার রোকনুজ্জামান কাঞ্চন। কাঞ্চন ছাড়াও পারভেজ বাবু, আজমল হোসেন বিদ্যুৎ, ফিরোজ মাহমুদ হোসেন টিটু ও ফয়সাল মাহমুদ মিডিয়াতে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন, চুক্তি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে গতকাল কাকনের সঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে মোহামেডান থেকে যোগ দেওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা ছেড়ে যায়নি। অনেক লোভনীয় অফারও প্রত্যাখ্যান করেছি। অথচ এই দলের কর্মকর্তারা এখন বকেয়া টাকা না দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। কাঞ্চন অঙ্কের পরিমাণ উল্লেখ না করে বলেন, দুই মৌসুমে এখনো আমার ১১ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও কেউ কোনো যোগাযোগই করছেন না। তিনি বলেন, হয়তো পছন্দ হয় না বলে মুক্তিযোদ্ধা এবার আমাকে রাখতে চাচ্ছে না। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্লাব আমার সঙ্গে যোগাযোগও করছে। না রাখুক কিন্তু আমার ন্যায্য টাকাতো বুঝিয়ে দেবে। খারাপ লাগে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক ভাইয়ের ভূমিকা দেখে। তিনিই মূলত এবার দল সাজাচ্ছেন। অথচ একজন ফুটবলার হয়েও উপলব্ধি করছেন না আমাদের কষ্টটা। ফয়সাল বলেন, গত মৌসুমের চুক্তির কিছু পেলেও এখনো ৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। কর্মকর্তাদের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা দেখছি না। কোচ মানিক বলেন, দেখুন পেমেন্ট নিয়ে আমার মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। এটার দেখাশোনার দায়িত্ব অন্যদের। তবে মুক্তিযোদ্ধাতে অনেকদিন ধরে আছি। কখনো পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো খেলোয়াড়ের অভিযোগ শুনিনি। এবারই কারো কারো অভিযোগ শুনছি। জানিনা, বলাটা ঠিক হবে কিনা, তারপরও প্রশ্ন যখন উঠছে তখন বলতে বাধ্য হচ্ছি, গেল দুই মৌসুমে মুক্তিযোদ্ধায় কারো বকেয়া থাকার কথা নয়। কাঞ্চন মিডিয়াকে বলছে, বকেয়ার কথা। আমি তো জানি, ওর কোনো বকেয়াই নেই। তারপরও ও কেন যে অভিযোগ তুলেছে তা বুঝতে পারছি না। ফুটবল ম্যানেজার আবদুস সাত্তার বলেছেন, অস্বীকার করব না, ফুটবলারদের পেমেন্ট একেবারে ক্লিয়ার হয়েছে। কিছু টাকা বাকি থাকতেই পারে। আমরা তো সময়ও নিয়েছি। এ নিয়ে তো মিডিয়াতে অভিযোগ জানানোর কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। আর কাঞ্চন জানে-এবার তাকে দলে রাখা সম্ভব নয়। তাই বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে সে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।