তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল গণতান্ত্রিক সিস্টেমে আলোচনাতেই ফল আসার কথা। কিন্তু সমস্যা হলো-- বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার -- এ ধরণের মানসিকতা কখনো আলোচনাকে অর্থবহ করে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই দলের মধ্যে অহমিকাবোধ এতো বেশি যে বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতাটা কালচারে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপির কথা শুনবে না আর বিএনপি কখনো আওয়ামী লীগের কথা মানবে না এটাই ধ্রুব সত্য।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সময় বিচারপতি হাসানকে মানা না মানা নিয়ে দুই সাধারণ সম্পাদকের আলোচনা সফল হয় নি। এর আগে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি স্যার নিনিয়ান স্টিফেনের মধ্যস্থ্তার আলোচনাও ব্যর্থ হয়েছে। অতএব এবারের আলোচনা হবে না বা আলোচনাতে ফল আসবে না এটা আমরা ধরে নিতে পারি।
এক দল আরেক দলকে দোষারোপ করছে। আর মাঝখানে আমরা চিড়ে চ্যাপ্টা জনগণ।
ইনু বলছেন-- খালেদা জিয়া লাগামহীন বক্তব্য রাখছেন-- তরিকুল বলছেন-- প্রধানমন্ত্রীর কথায় রুচির অভাব আছে-- আর বাংলাদেশের চ্যাপ্টা জনগণ দেখছে ক্ষমতায় থাকার বা আসার জন্য দুই দলের কি বিকৃত প্রতিযোগিতা!!!!
দুই প্রধান দলের আচরণ দায়িত্বশীল নয় কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এদেরকেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে যাবেন বছরের পর বছর। আর আমরা ক্রমেই হতে থাকবো চিড়ে চ্যাপটা থেকে চ্যাপটাতর।
আকবর সাহেবের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই উনি আবার ফর্মুলা দিতে গেছেন। রফিকুল সাহেব এক পা কবরে দেওয়ার পরও আলোচনায় মধ্যস্থ করতে চান। দয়া করে ক্ষমা করবেন--- জনগণ যেটি বোঝে সেটি আপনারাও বোঝেন না।
তার আসুন চুলাচুলির বা মারামারির আয়োজন হোক-- স্টেডিয়ামে। টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করুক। স্পন্সর আসবে-- টিকেট বিক্রীর টাকা আসবে। অন্তত দেশের রাজস্ব আয় বাড়ানোর একটা উপায় হবে। বিষয়টি ফাজলামো মনে না করে অর্থনীতিবিদরা সিরিয়াসলি ভেবে দেখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।