হিলারির ভাষায়, ‘সত্যিকারের শারীরিক সম্পর্ক’ বলতে যা বোঝায় বিলের সঙ্গে মনিকার তা কখনোই হয়নি। আর হোয়াইট হাউজের সাবেক শিক্ষানবিশ মনিকা আসলে কার্টুন চরিত্র লুনি টুন, যে কিনা আত্মরতিতে মগ্ন।
১৯৯৮ সালে ওভাল অফিসে ক্লিনটন-মনিকার যৌন সম্পর্কের খবর বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলার পর নিজের পরামর্শদাতা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডায়ান ব্লেয়ারের কাছে এভাবেই মনের কথাগুলো তুলে ধরেছিলেন হিলারি।
ডায়ান ব্লেয়ারকে এক সময় নিজের ঘনিষ্ট বন্ধবী হিসাবেও উল্লেখ করেছিলেন হিলারি। ২০০০ সালে তার মৃত্যুর পর তার ব্যক্তিগত বেশ কিছু চিঠি ও ডায়রি আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে দেন ডায়ানের স্বামী।
সেইসব নথিপত্র থেকেই সম্প্রতি হিলারির সেইসব মন্তব্য তুলে এনেছে ওয়াশিংটন ফ্রি বিকন নামে একটি ওয়েবসাইট, যার মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে মনিকা-ক্লিনটন সম্পর্ক।
মনিকার দাবি ছিল, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সঙ্গে ওভাল অফিসে তার নয়বার যৌন সংসর্গ হয়। তার ওই দাবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে হিলারিকে সঙ্গে নিয়েই এক সংবাদ সম্মেলনে মনিকার সঙ্গে সম্পর্কের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন ক্লিনটন।
কিন্তু ‘সেই প্রেমের’ নমুনা হিসাবে মনিকার এরপর হাজির করেন তার একটি নীল গাউন, যেখানে ক্লিনটনের ডিএনএও পাওয়া যায়্ ফলে প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রকাশ্যে মিথ্যা বলার অভিযোগে সিনেটে অভিশংশনের মুখে পড়েন ক্লিনটন।
ঘটনাপ্রবাহের এই আকষ্মিকতায় ভাঙা মন নিয়েও ক্লিনটনের পক্ষে কথা বলে গেছেন হিলারি।
স্বামীর সেই সম্পর্কের জন্য তিনি মনিকাকে দায়ী করেছেন, ক্লিনটনের সমালোচকদের দুষেছেন, তার দুঃখ করেছেন নিজে ক্লিনটনকে আরো বেশি সময় দিতে পারেননি বলে।
ডায়ান লিখেছেন, “হিলারি জানতেন এটা নৈতিক স্খলন। পরিষ্কার একজন ‘নার্সিসিসটিক লুনি টুন’কে ক্লিনটন সামলাতেও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিষয়টা আয়ত্বের বাইরে চলে যায়। ”
ডায়ানের কাছে হিলারি নিজেকে তুলে ধরেছেন একজন ‘জটিল মনস্তত্বে ‘ মানুষ হিসাবে, কে কি ভাবল- তা যিনি খুব একটা গায়ে মাখেন না।
“আমি একজন গর্বিত নারী। আমি বোকা নই, আমি জানি, প্রেসকে সামলাতে আমার আরো কাজ করতে হবে। আমি জানি, আমি চুলে বাঁধার ধরন বদলালে লোকজন বিভ্রান্ত হয়। আমি জানি, আমার এমন ভাব নেয়া উচিৎ যে নিজের কোনো মতামত নেই… কিন্তু আমি তা করছি না। ”
হিলারিকে উদ্ধৃত করে ডায়ান আরো লিখেছেন, “আমি জানি কীভাবে আপস করতে হয়… আমি আপস করেছি, নিজের নাম বদলে ফেলেছি, কনট্যাক্ট লেন্স নিয়েছি, যা আমি নই, তেমনভাবে আমি নিজেকে দেখাতে চাই না।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।