বিদ্যুতের দাম আরও এক দফা বাড়ানো হলো। মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে। তবে সেচের কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ মূল্যবৃদ্ধির আওতার বাইরে থাকবে। একেবারে গরিব গ্রাহক, যারা ৫০ ইউনিটের নিচে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে তাদের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি প্রযোজ্য হবে না। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহার ৫১ ইউনিট বা তার বেশি হলেই মূল্যবৃদ্ধির খড়গ তাদেরও আঘাত হানবে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচের চেয়ে দাম কম হওয়ায় লোকসান কমাতে মূল্যবৃদ্ধির অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা যায়, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারকে আরও সমালোচিত হতে হবে জেনেও ঝুঁকিপূর্ণ পথে পা বাড়াতে হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী না হওয়ায় খরচ মেটাতে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দাম বাড়ার ফলে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কয়েকশ কোটি টাকা কমানো যাবে সন্দেহ নেই। তবে তা পরোক্ষভাবে দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ সৃষ্টি করতে পারে। এমনিতেই দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিণতিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেলে তা জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিদ্যুতের সর্বশেষ দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে যত বেশি ব্যবহার তত বেশি বিল নীতির প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহারকারীদের ওপর মূল্যবৃদ্ধির চাপ বেশি পড়বে। গরিব গ্রাহক ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়াতে হচ্ছে কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে উৎপাদনের কারণে। সাশ্রয়ী দামে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে দিকে সময়মতো নজর না দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করব সরকার এ ব্যাপারে সচেতন হবে। কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে সৃষ্ট নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।