বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। ঠাডা পড়তে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মাথায়।কী করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। তেমন কয়েকটি উপায়ের দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
*১. ভাবা যেতে পারে এখনো শীত যায়নি। কম্বল লেপ মুড়ি দিয়ে একটি শীত শীত ভাব আনা যায়। হাত-পা মোজা পরে কাঁপতে কাঁপতে ঘরে ঠুক ঠুক করে হাঁটা যায়। সোয়েটার জ্যাকেট পরে বলতে হবে, 'ইশ যে শীত পড়েছে। ভুলেও ফ্যান ট্যান ছাড়িস না যেন। ফ্রিজে কিছু রাখিস না, এমনিতেই যা ঠাণ্ডা'। এতে করে ফ্যান, এসি, ফ্রিজের বিল কমে যাবে।
*২. অফিসে কাঁথা-বালিশ কোল বালিশ বিছানা পেতে ওখানেই থেকে যাওয়া যায়। বিকালে অফিস ছুটি হলে বাইরে থেকে দুটো খেয়ে এসে, অফিসের মেঝেতে বিছানা করে একটা ঘুম দিয়ে সকাল সকাল আবার ওঠে অফিস করবেন। এতে অফিসের ফ্যান বাতি দিয়েই কাজ চলে যাবে। বাসার ফ্যান বাতি বন্ধ থাকবে, বেঁচে যাবে বিদ্যুৎ খরচ।
*৩. সপ্তাহে ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন বাসায় বেড়াতে যাওয়া যায়। দুই দিন অমুকের বাসায়, পরের দুই দিন তমুকের বাসায়। একটু রাত রাত যখন হয়ে যাবে, তখন তারা বলবে, 'রাত হয়ে গেছে, আপনারা থেকে যান', তখনই রাজি হয়ে যেতে হবে। থেকে যাবেন রাতটি। বাসায় পুরো ঘরের বিদ্যুৎ খরচ সেভ হয়ে গেল।
*৪. আদিম যুগে ফিরে যেতে পারেন। কমলাপুর রেললাইন থেকে কয়েকটা পাথর এনে ঠুকাঠুকি করে আগুন জ্বালাবেন। মাংস আগুনে পুড়ে খাবেন। বাতাস খাবেন তালপাতার পাখা দিয়ে। মাটির কলসিতে ফিটকিরি দিয়ে পানি রাখবেন। পানি ঠাণ্ডা থাকবে। টিভির বিকল্প হিসেবে রাতে আগুনের চারপাশে নাচানাচি করে গান গাইবেন, এটাই বিনোদন। বিদ্যুৎ সংযোগ লাগবে না। বিল দেওয়াও লাগবে না।
*৫. ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ফেসবুকের সব বন্ধুদের চিঠি দিয়ে কমেন্ট স্ট্যাটাস পাঠাতে বলা হবে। টেলিগ্রাম করে মোবাইলের মেসেজ দিতে বলা হবে। বেঁচে যাবে কম্পিউটার মোবাইলজনিত বৈদ্যুতিক খরচ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।