পেশাজীবী চিকিৎসক সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ছাত্র সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ। গতকাল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. মো. শাহজাহান আলীকে ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে। সার্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার নেতারা এ ঘটনায় সরকারদলীয় চিকিৎসক-শিক্ষকদের দায়ী করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, গতকাল দুপুরের দিকে ১ নম্বর লেকচার গ্যালারির সামনে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ উপস্থিত হলে শিবির কর্মীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। সংঘর্ষে কলেজের ছাত্রশিবির কর্মী আবু তালেব পলাশ, ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি রকিবুল ইসলাম, কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান, সাইদুর রহমান, ওবায়দুর রহমান আহত হন। ঘটনার জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এতে শিবির কর্মীদের কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ ডা. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. সেখ আখতারুজ্জামান বলেন, সরকারদলীয় কিছু চিকিৎসক ও শিক্ষক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ইন্ধন দিয়ে ক্যাম্পাস অশান্ত করে ফায়দা লুটছেন। এরই ধারাবাহিকাতায় ৮ ফেব্রুয়ারি ডা. মো. শাহজাহান আলীকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএমএ-এর পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।