আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষক সংকটে খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠদানে 

খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের সবগুলো পদই তিন মাস ধরে শূন্য। একই অবস্থা ফরেনসিক বিভাগে। বিভাগটি চালু রাখতে ডেপুটেশনের মাধ্যমে একজন মেডিকেল অফিসারকে (প্রভাষক) দিয়ে কোনোমতে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শুধু এই দুই বিভাগেই নয়, কলেজের অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকের ১০১ পদের ৫২টিই বর্তমানে শূন্য। ফলে মেডিকেল কলেজের পড়ালেখা মারাত্দক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত বছরের জুনে মন্ত্রণালয়ের আদেশে একই সঙ্গে কলেজের ১৩ জন শিক্ষককে পদায়ন করে অন্যত্র বদলি করা হয়। সেই থেকে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, ফার্মাকোলজি, কার্ডিওলজি ও অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। বর্তমানে কলেজে মাইক্রোবায়োলজি, রক্ত পরিসঞ্চালন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের তিনটি পদই শূন্য রয়েছে। ফিজিওলজি, চক্ষু, অ্যানেস্থেসিওলজিতে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নেই। অর্থো-সার্জারি বিভাগেও একই অবস্থা। কার্ডিওলজি বিভাগে অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক নেই। একজন মাত্র সহযোগী অধ্যাপককে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মাইক্রোবায়োলজি ও ফরেনসিক বিভাগের। মাইক্রোবায়োলজিতে কর্মরত সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফুজ্জামান গত জানুয়ারিতে অবসরে (পিআরএল) যাওয়ায় এই বিভাগটি এখন শিক্ষক শূন্য। ফরেনসিকে সংকট মোকাবিলায় কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে মেডিকেল অফিসার মুসলিমা ইয়াসমিনকে ডেপুটেশনে এনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আতাউর অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত। কলেজের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কলেজের অধ্যাপকের ২৩ পদের মধ্যে ১৭টি শূন্য। সহযোগী অধ্যাপকের ৩৫ পদের মধ্যে শূন্য ১৬টি।

আর সহকারী অধ্যাপকের ৪৩টি পদের মধ্যে শূন্য ১৯টি। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, ১৯৯২ সালে শিক্ষা কার্যক্রমের শুরুতে ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষকের পদ বরাদ্দ করা হয় ১০১ জন। এখন প্রতি বছর ভর্তি হচ্ছে ১৪২ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু আনুপাতিক হারে শিক্ষকের পদ একটিও বাড়েনি। এর পরও বরাদ্দ শিক্ষক পদের অর্ধেকই শূন্য দীর্ঘ দিন। ফলে স্বল্প শিক্ষক দিয়ে বর্তমানে কলেজে অধ্যয়নরত ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে অনেক লেখালেখি করা হলেও কাজ হচ্ছে না।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.