আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিলি্লতে নির্বাচন চাইছে না কংগ্রেস!

জন লোকপাল বিল পেশে ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরবিন্দু কেজরিওয়াল। গতকাল সেই ইস্তফার চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন দিলি্লর উপরাজ্যপাল নাজিব জঙ্গ। এবার প্রশ্ন- এরপর কোন পথে তথা কার হাতে দিলি্লর তখত?

এক পক্ষ চাইছে দিলি্লতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করে দিন উপরাজ্যপাল নাজিব জঙ্গ; যাতে বিজেপির জন্য সরকার গড়ার রাস্তা খোলা থাকে। অন্যদিকে কেজরিওয়াল তথা আম আদমি পার্টির দাবি দ্রুত নির্বাচন হোক। বিজেপির তাতে খুব এটা আপত্তি না থাকলেও সেই দাবিতে সমর্থন জানাতে পারছে না কংগ্রেস। তিনবারের শাসক দলের বর্তমানে শক্তি মাত্র আট বিধায়ক। এখন নির্বাচন হলে কেজরি ঝড়ে সেটুকুও মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পূর্ণমাত্রায়। ফলে নির্বাচনর পথে কোনোভাবেই হাঁটতে চায় না কংগ্রেস। এ পরিস্থিতিতে ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আপাতত নির্বাচনের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই এগোচ্ছে রাজধানী। এরই মধ্যে দিলি্লর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে গতকাল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে রিপোর্ট পাঠান জঙ্গ। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে দিলি্লতে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন তিনি। ওই রিপোর্টে দিলি্ল বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন তিনি। রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জঙ্গের সেই সুপারিশ মেনে নিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। দিলি্লর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন দেড় মাস বাদে নিজের চেনা গণ্ডিতে ফিরে গিয়ে স্বস্তিতে কেজরিওয়াল। প্রশাসকের তকমা ছেড়ে আবার আম আদমি তিনি। গতকাল দিনভর দফায় দফায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে নানা জল্পনার মধ্যেই গতকাল বিজেপি নতুন করে জানিয়ে দিয়েছে ঘোড়া কেনাবেচা করে সরকার গড়ার খেলায় তারা নেই। ১৯৯৩ সালে দিলি্ল রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হতে চলেছে রাজধানীতে। বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন জানিয়ে দিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও তারা আদৌ সরকার গড়ার দৌড়ে নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র চারটি আসন কম হলেও প্রথম থেকেই দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির পরামর্শ মেনে বিধায়ক কেনাবেচা এড়িয়ে গেছে দল। ভাবমূর্তির প্রশ্নে লোকসভার আগে নতুন করে বিতর্ক বাড়াতে চাইছে না শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। উল্টো দলের পরিকল্পনা হলো ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা। এরই মধ্যে জেডিইউ ও নির্দল দুই বিধায়ক তাদের সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। দল খুব ভালো করেই জানে, কংগ্রেস বা আপের বিধায়কদের একটি বড় অংশ ফের নতুন করে ভোট চান না। ফলে ওই দুই দল ভেঙে যদি একাধিক বিধায়ক বেরিয়ে আসেন সে ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য নিয়ে অনায়াসে সরকার গড়ে ফেলতে পারবে বিজেপি। অন্যদিকে এ মুহূর্তে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব কোনোমতেই নির্বাচন চাইছে না। তাই বিজেপির জন্য সরকার গড়ার জায়গা খোলা রেখেই রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে দিলি্ল প্রশাসন সূত্রের খবর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.