নৈতিক দীনতা যখন প্রকট হয়ে ওঠে
ফকির ইলিয়াস
________________________________________________
বড় আজব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন! তারা সাপলুডু খেলতেই ভালোবাসে বেশ। ‘সাফটা’ চুক্তিটি কি কার্যকর হলো? আর কতো দেরি! এমন একটা কথারহস্য থেকেই যাচ্ছে। এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। আর হয়নি বলেই মার্কিনি দূত- দেবতারা বলছেন নানা কথা। দুটি খবর এখানে উল্লেখ করা দরকার।
গেলো ৫ জানুয়ারির ‘ত্রুটিপূর্ণ’ নির্বাচন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতার ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনেট কমিটির শুনানিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে ওই শুনানিতে তিনি আরো শঙ্কা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে অস্থিরতা থাকলে তা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ক্যাপিটল হিলের সিনেট ডার্কসেন ভবনে কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেনদেজের সভাপতিত্বে এই শুনানিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি পোশাক শিল্পের শ্রম পরিবেশ নিয়েও আলোচনা হয়। এটি একটি খবর।
আর অন্য আলোচিত খববরটি হচ্ছে, দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দিতে দেশটির ঢাকা দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে একটি গোপন বার্তা গিয়েছিল।
আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের ফাঁস করা ওই বার্তাটি ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির জন্য তারেক দায়ী বলে দূতাবাস মনে করে। তার দুর্নীতির কারণে মার্কিন ঘোষণাপত্রের ৪ নম্বর ধারায় বর্ণিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্য বিনষ্ট হওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণœ হয়েছে। ’
আরো বলা হয়, ‘কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসা বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির মূল উৎপাটন এবং দারিদ্র্যপীড়িত এ জাতিকে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা চৌর্যবৃত্তি থেকে মুক্তি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার দুই শতাংশ কম হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
’ জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে তার যাত্রা করার কথাও তুলে ধরে মার্কিন দূতাবাস। এরপর বার্তায় তাতে তারেক জিয়া সম্পর্কে বলা হয়, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত বিষয় এবং রাজনৈতিক পদ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে যত্রতত্র ঘুষ চাওয়ার জন্য তারেক জিয়া কুখ্যাত। দুর্নীতিপ্রবণ সরকার এবং বাংলাদেশের সহিংস রাজনীতির এক দৃষ্টান্ত সে। ’
তারেক রহমানের ঘুষ, হত্যা-ম“, দুর্নীতি, হাওয়া ভবন কেলেঙ্কারির দীর্ঘ ফিরিস্তি উঠে এসেছে ঐ তারবার্তায়। কথা হচ্ছে, আমেরিকা যে বাংলাদেশের ছায়াপ্রভু, তা তারা বারবারই দেখাচ্ছে।
এর কারণ কী? কারণটি হলো- বাংলাদেশের রাজনীতিকদের নৈতিক স্খলন ঘটেছে মারাত্মকভাবে। ন্যূনতম সম্মান জানানোর, সম্মান গ্রহণের প্রত্যাশাও যেন এখন সুদূর পরাহত। একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। একটা বিষয় আমাকে বেশ ভাবায়। তা হলো, আমরা দেখছি বাংলাদেশে অনেক জাতীয় ব্যক্তিত্ব মরণের পর তাদের প্রাপ্য সম্মান পান না।
পাচ্ছেন না। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম যেদিন মারা যান, আমি সেদিন বাংলাদেশে ছিলাম। টিভিতে নিউজ দেখলাম। বলা হলো, ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গ্রন্থের লেখক মারা গেছেন। তার আর কোনো পরিচয় ছিল না? ছিল।
ঐ সময়ের সরকার তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেনি।
দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানকে আমরা জাতীয় পতাকায় ঢেকে দিতে পারিনি। কেন পারিনি? কবি ফজল শাহাবুদ্দীন ইন্তেকাল করেছেন। তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কথা হচ্ছে, জাতীয় বুদ্ধিজীবী হিসেবে তার দাফন হলো না কেন? তার কী অপরাধ ছিল? তিনি স্বৈরাচারী এরশাদের সভাসদ ছিলেন।
এজন্য তিনি যথাযথ সম্মান পাননি? এরশাদ এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। এই দেশ এরশাদের অনেক কিছুরই বৈধতা দিয়েছে। বৈধতা দিয়েছে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ নামক সংশোধনীরও। অথচ এই দেশে আরো অনেক ধর্মের মানুষ আছেন। কথা ছিল বাংলাদেশ হবে ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’।
শেখ হাসিনার ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ঐ সংশোধনী ‘আনটাচ’ই রেখেছেন। ভোটের রাজনীতি বলে কথা!
প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবী প্রয়াত ড. আহমদ শরীফের একটি ভাষণ আমার প্রায়ই মনে পড়ে। তিনি বলতেন, আমি শঙ্কিত নই। যা বিশ্বাস করি তাই বলি। আমার কথা এবং কর্মে কোনো অমিল নেই।
শঙ্কা মানুষের হৃদয়ের প্রকৃত শক্তিকে হরণ করে। আর যার হৃদয়ে সৎ শক্তি থাকে না সে তো মানুষ নয়। ড. আহমদ শরীফ প্রায় তিন দশক আগে যে কথাটি বলে গেছেন, সেই শঙ্কা নিয়েই ঘুরপাক খাচ্ছে আজকের বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি। কারণ এই রাষ্ট্রটিকে এমন এক অবস্থায় পতিত করা হয়েছে, সবকিছু নিয়েই আজ সন্দেহ। সবকিছু নিয়েই আজ শঙ্কার রাজনীতি।
সবাই, অর্থাৎ যারা রাষ্ট্রের শাসক-কর্ণধার, তারা নিজেরাই বুঝে উঠতে পারছেন না জনগণ তাদের কতোটা বিশ্বাস করে কিংবা চায়। আর চাওয়া না চাওয়ায় তাদের কিই-বা আসে যায়। তারা চেপে বসেছেন। তাদের টলাতে পারে এমন সাধ্য কার আছে!
আমরা খুব ভালো করে জানি, গণতন্ত্রের কিছু মূল শর্ত থাকে। যে কোনো দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেগুলো পূরণ করতে হয়।
পূর্বশর্তগুলো হচ্ছে- জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান। উন্নত দেশগুলোতে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আজ উচ্চাসন পেয়েছে, তার কারণ সেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো অনেকটাই পূরণ হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার শাসকরা বহির্বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ঠিকই, কিন্তু নিজ দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকছে। এর ব্যত্যয় হলে পার্লামেন্ট-সিনেটে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। কোনো দুর্নীতিবাজ পার্লামেন্টারিয়ানই ছাড় পান না।
বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক দীনতা চলছে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? তা ভাবা দরকার। একটা হিসেব-নিকেশ করা দরকার, রাজনীতিকরা রাষ্ট্রস্বার্থে কতোটা সহনশীল হবেন। কোলকাতার একজন রাজনীতিক তাদের নিজেদের খিস্তিখেউড় ঘাঁটতে গিয়ে কিছু কথা বলেছেন, যা থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের অনেক কিছু শেখার আছে। পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেনÑ ‘আপনাদের কী মনে হয়, তিনি (মমতা) কেন তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তিতে সায় দিচ্ছেন না, কেন তিনি সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারেও আপত্তি করছেন? এর কারণ হচ্ছে তিনি জামাতকে খুশি করতে চান এবং হাসিনাকে বিপদে ফেলতে চান। ’ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি, ‘তিনি (মমতা) তাদের এখানে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তির উত্থানে তিনি ম“ দিচ্ছেন। তিনি একটি ভয়াবহ খেলায় মেতে উঠেছেন। ’ এখানে মনে রাখা দরকার বিমান ও মমতা দুজনেই কিন্তু ভারতের স্বার্থরক্ষাকারী। বাংলাদেশকে তারা ব্যবহার করতে চাইছেন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের প্রয়োজনে।
কথা হলো, মৌলবাদী সবসময়ই হিংস্র।
এরা যে কোনো ধর্মেরই হোক না কেন। কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থরক্ষা করতে বাংলাদেশের দাবি ও চুক্তিগুলোতে বাগড়া দিয়েছেনÑ এটা তো সত্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার শক্তিগুলো এভাবে জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হতে পারলো না কেন?
বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতির উদাহরণ অনেক। এর ধারাবাহিকতায় দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার ঘটনা অবাক করেছে গোটা জাতিকে। খবর বেরিয়েছে, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় এবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
রায়ের কপি প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনার পর ঘটনার সঙ্গে এ দুজনের সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়টি একরকম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তদন্ত করে তাদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই দায়ের করা হবে এ সংক্রান্ত আরেকটি মামলা।
অস্ত্র চোরাচালান ও আটক সংক্রান্ত পৃথক দুটি মামলার রায় ঘোষণা করা হলেও ঘটনার সঙ্গে খালেদা ও তারেকের বিরুদ্ধে নতুন করে আরেকটি মামলা করার ব্যাপারে কোনো আইনগত জটিলতা থাকবে না। এমনকি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করারও প্রয়োজন হবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণে যাদের নাম এসেছে, তদন্তে তাদের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা মিললেই নতুন মামলা করা যাবে।
পুরো বিষয়টি সরকারের আইনবিষয়ক নীতিনির্ধারকরা গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এই পর্যবেক্ষণের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা খুব শিগগিরই শুরু করবে তাদের তদন্ত কাজ।
খালেদা জিয়া ও তারেকের বিরুদ্ধে তদন্ত করার বিষয়ে ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে তিনি বলেছেন, ‘দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার বিচারের সময় সাক্ষীদের সাক্ষ্যে যেহেতু বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও হাওয়া ভবনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি চলে এসেছে, তাই এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে একটি তদন্ত হওয়া দরকার। ’ এর পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে কিনা, কোথা থেকে টাকা এসেছে এবং এর সঙ্গে অন্য কারা জড়িত, সেটাও তদন্তের আওতায় আনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে নাশকতা চালানোর উদ্দেশে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশে লিপ্ত ছিল বাংলাদেশের খালেদা জিয়ার সরকারের একটা প্রভাবশালী অংশ।
বাংলাদেশে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের বরাত দিয়ে এটা লিখেছে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এই ভাষাতেই আগের বিএনপি ও জামাতে ইসলামীর জোট সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন। রায়ে বলা হয়েছে, দেশ পরিচালনায় ঘোষিত নীতির বাইরে সরকার যে অন্য একটি নীতিও মেনে চলতো, এই মামলায় তা স্পষ্ট হয়েছে। বিচারকের মতে এই প্রবণতা যেমন অনৈতিক, তেমনই জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার পক্ষেও চরম বিপজ্জনক।
প্রতিবেশী দেশে নাশকতা চালানো কখনো কোনো সরকারের নীতি হতে পারে না।
ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে একটা বড় দূরত্ব তৈরি হয়েছে ভারতের। এর জন্য বিএনপির নাশকতামূলক মানসিকতাই দায়ী বলে মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আমার মনে হয়, আরো কয়েক মাসের মধ্যে বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় কল্যাণে আইনি প্রক্রিয়া জোরালো করবে। মনে রাখা দরকার, রাষ্ট্রীয় দীনতা কোনোভাবেই যে অর্জনকে ম্লান না করে।
গণতান্ত্রিক ছায়ার আড়ালে প্রকৃত দোষীরা যেন কখনই পার পেয়ে না যায়। আমেরিকা কিভাবে খেলবে, তা নির্ভর করছে মার্কিনি স্বার্থ হাসিলের ওপর। তাই ক্ষমতায় রাখা কিংবা ক্ষমতায় নেবার গ্যারান্টি পাওয়া যাবে সেই বিবেচনা থেকে। বাংলাদেশের রাজনীতিকরাই বিদেশে ‘মনস্টারপ্রভু’ তৈরি করেছেন। এর থেকে এখন বের হয়ে আসার পথ খুব সহজ নয়।
===========================================
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।