মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও জেল আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
হাই কোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ১০ জনের মধ্যে দুই জনের দণ্ড বহাল রাখা হয়। দুইজনকে খালাস দেয়া হয়। বাকি ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের দুইজনকে খালাস এবং চারজনকে দশ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছে উচ্চ আদালত।
ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এসএম শাহজাহান, ফজলুল হক ফরিদ, মো. খবির উদ্দিন ভুঁইয়া এ মামলায় আসামিপক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নুরুল ইসলাম শাহিন ও তহুরুল ইসলামের দণ্ড বহাল রাখা হয়। একই দণ্ডপ্রাপ্ত দিলিপ ও তমালকে দেয়া হয় বেসকসুর খালাস।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শফিকুল ইসলাম, আবুবকর সিদ্দিক, নুরুন্নবী হাসান, পিন্টু, শফিকুল ইসলাম ও সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়।
নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া আহমেদ শাহ নুরুল ও খায়রুল ইসলামকে খালাস দেয় হাই কোর্ট। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত বাকি চার জন- রঘুনাথ বর্মণ, আবদুল করিম, হাজী আজিম উদ্দিন ও সানাউল ইসলামের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে দণ্ড দেয়া হয়।
বিচারিক আদালতে ১০ বছরের সাজা পাওয়া আবদুল মান্নান, আবদুল আউয়াল, রবিউল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন ও মাজেদ আলীকে খালাস দেয় হাই কোর্ট।
আসামিদের আইনজীবী খবির উদ্দিন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৬ সালের ২৫ অগাস্ট নওগাঁ জেলার মান্দা থানার চৌবাড়িয়া কলেজ মাঠ অবস্থিত গরুর হাটে ইজাদার অফিসে ২০/২৫ জন ব্যক্তি অতর্কিত বোমা হামলা চালায়।
এ সময় তারা লুটপাট শুরু করে।
“সন্ত্রাসীদের ধরতে সেখানে পুলিশ হাজির হলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। তারা চার পুলিশকে জবাই করে হত্যা করে। বোমার আঘাতে আহত হয়ে পরদিন ইজারাদার নজের আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। ”
এ ঘটনায় মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক তফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এতে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মেজবাহ উদদ্দৌলা ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয় জনকে যাবজ্জীবন ও পাঁচ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।