ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) জানানোর পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে বন্ধ হয়নি নিষিদ্ধ পপি চাষ। অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের মদদেই ভারতীয়রা নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পপি চাষ করছে। সূত্র মতে, সোনামসজিদ সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে সীমান্ত পিলার ঘেঁষেই পপি চাষ করছে ভারতের জমির মালিকরা। আর এর সঙ্গে ভারতীয়সহ বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু এই অঞ্চলে নয়, বিভিন্ন সীমান্তের কাঁটাতার সংলগ্ন কয়েক হাজার বিঘা জমিতে চলছে পপি চাষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের দিলালপুরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত মেইন পিলার ১৮৪/২ এস এলাকায় ও ভারতের মিলিক সুলতানপুর সীমান্ত পিলার ঘেষেই প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বিঘা পপি ক্ষেত রয়েছে। নোম্যান্সল্যান্ডে নিজ নিজ জমিতে অবাধে পপিচাষসহ অন্যান্য ফসলও চাষাবাদ করছে উভয় দেশের নাগরিকরা। ভারতীয় অংশে পপির চাষ হওয়ায় কার্যত কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা।
তবে সীমান্ত এলাকায় পপি চাষ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারতীয় সীমানন্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে অনুরোধ করেছে বিজিবি। হেরোইন ও আফিম তৈরির প্রধান উপাদান হিসেবে খ্যাত পপির চাষ লাভাজনক হওয়ায় ভারতীয়রা এর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে বিএসএফ সদস্যরা ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দিলেও পপি চাষে কোন বাঁধা দেয় না। অন্যদিকে ভারতীয় অংশে পপি চাষ হওয়ায় বাংলাদেশী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বাংলাদেশের ভূমির পাশেই সীমান্ত পিলার ঘেষে ভারতের মিলিক সুলতানপুর গ্রামের জমির মালিক সাহেব আলী, এখলাশ, আশরাফুল, নজরম্নল ও সাইফুদ্দিনসহ ১৫/২০ জন হেরোইন ও আফিম উৎপাদনের জন্য নিষিদ্ধ পপিচাষের সাথে জড়িত।
ভারতের মিলিক সুলতানপুরের কয়েকজন পপিচাষী সীমান্ত পিলারের কাছে এলে তারা প্রতিবেদককে জানান, ভারতের পুলিশ ও বিএসএফ জানলেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেন না। এসব পপিচাষ করে উৎপাদিত আফিম ও হেরোইন বাংলাদেশেই বিক্রি করা হবে বলে জানান অনেকেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মাহবুব জানান, বিষয়টি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে হওয়ায় আমাদের করার তেমন কিছু নেই। দেশের অভ্যনত্মরে হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকতো।
অন্যদিকে নোম্যান্সল্যান্ডে পপি চাষ হলেও বিজিবি বা পুলিশের তেমন করার কিছু নেই বলে জানান শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সোবহান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)'র অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জাফর শেখ মোহাম্মদ বজলুল হক পপি ক্ষেতের বিষয় স্বীকার করে জানান, স্থানীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাধ্যমে পপি চাষের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব এলাকায় যাতে পপিচাষ বন্ধ করা হয় এজন্য বিএসএফকে বলা হয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।