আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্য, হোমল্যান্ড, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড স্টোরেজ সিস্টেম, ফুড ডিস্ট্রিবিউশন, ফুড ফর এলাইভ এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট। (পর্ব-৩)

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

আপনাদের হৃদয়ের অনুভতির বসন্ত বাতাস দেখে আপনারা হয়তো অবাক হচ্ছেন।

দয়া করে অবাক হবেন না। আমি আপনাদের বিনয় ভরে মিনতী করে বলছি আপনারা এক আল্লাহ্ ব্যাতিত কারও কাছে মাথা বা আত্না নত করবেন না। মনে রাখবেন একমাত্র ঈস্বর ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নাই।

আপনাদের নিজের কাছে যদি আপনাদের কিছু চাওয়ার থাকে তাহলে সরাসরী আপনাদের রবের কাছে চাইবেন। মনে রাখবেন একমাত্র আল্লাহ্ ই আপনাদের রক্ষাকর্তা ও সকল বিষয়ে ভালো জানেন ও বোঝেন।



আপনারা হয়তো ভাবছেন যে, যাদের আপনারা মহামানব জ্ঞানে শ্রদ্ধা করেন তারা বুঝি আপনাদের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। আসলে এই ধারনা একদম মিথ্যে। আল্লাহ্‌ই সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী ও তিনিই দয়ালু।

অনেকে হয়তো তাদের আকস্মিক কিছু পরিবর্তনে আপনাদের মতো একজন মানুষের কতৃক কিছু কাজ করা কে দেখে তাদের প্রতি ঈমান এনে তাদের সেজদা বা তাদের নাম-ধ্যাম জপে একদম গোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়েন। এটা করবেন না।



আপনারা আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কোনো উপস্যকে উপসনা করলে তার পরিনাম কখনও ভালো হয় নি হবেও না।

আপনারা হয়তো ভাবছেন যে আপনাদের সম্পদায়ে যিনি আপনাদের কথা জানাতে এসেছিলেন তিনি বুঝি অনেক শক্তিশালী? তিনিই বুঝি সেরা? বা সবাই সমান। আসলে এর কোনোটাই না। একমাত্র ভগবান ব্যাতিত আপনাদের অন্য কেউ রক্ষা করেন না।

মানুষের সাধনের/পাপমুক্ত সর্বোচ্চ পর্যায় হলো মুমিন।

একজন মুমিনের অনেক কিছু দেখে আপনাদের ভালো লাগতে পারে। তাকে হয়তোবা আপনাদের গোত্রের নেতা নির্বাচনও করতে পারেন। তাই বলে তিনি শয়তানের ওছওয়াছা থেকে দুরে নয় তারপরও শয়তান তাকে বার বার ধোকা দেয়। কিন্তু তিনি সেই ধোকায় পরেন না। তারা কিন্তু মুক্ত আত্মা নন।

একমাত্র ঈশ্বর ব্যাতিত অন্য কারও উপসনা করবেন না। ভক্তি বা শ্রদ্ধা যা মানুষ হিসেবে মানুষ করতে চায় তাতে কোনো প্রকার বাধা নাই।

যে সব মুক্তআত্মা আপনাদের মতো মানব শরীর নিয়ে আপনাদের সম্পদায়ের মধ্যে এসে ছিলেন সবাইকে বা কাউকেউ ব্যালেন্সড ভেবে ভুল করবেন না। একটি সম্পদায়ের মধ্য যখন তারা মানুষ হিসেবে আবির্ভুত হয় তখন সেই সম্প্রদায় বারতি একটা এটা এডভানটেজ পেতে পারে মাত্র। তা একটি ক্ষুদ্র গোষ্টি, একটি জনগোষ্ঠি, বা কোনো রাস্ট্র ইত্যাদি ইত্যাদি।

আপনারা মানুষকে খোদা মনে করেছিলেন বলে অনেক অসুবিধা হয়েছিলো, তা কি আপনারা দেখতে পান নি?

যখন তারা বিভিন্ন বিষয়ে আপনাদের উপকার করতে চান তখন তারা অনেকে বিশেষ বিশেষ কিছু করে দেখান যা মুলত আল্লাহ্ র সষ্টি ও একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কোনো প্রকার উপাস্য নাই।

আপনারা যদি ব্যলেন্সড হতে শেখেন তাহলে আপনারা ভালোভাবে বাঁচতে শিখবেন। আর যদি নন ব্যলেন্সড হন তখন আপনাদের মধ্য থেকেই ছোট খাটো কোন সাধক পাঠিয়ে আপনাদের কিছু কিছু গাইড লাইন দেয়া হয় মাত্র কিন্তু তাতে উক্ত মানুষটির তেমন কোনো কৃতিত্ব নাই বললেই চলে। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কারও কোনো উপসনা করবেন না।

তিনি সর্বনাম।

তাকে যে নামে ডাকবেন তিনি আপনাদের উপকার ছড়া ক্ষতি করবেন না। আপনাদের ভাষা আছে বলে আপনাদের নাম ধরে ডাকতে হয়। তাই বলে আল্লাহ্ বৈদ্ধ মোসলমান, হিন্দু, খৃষ্টান বা অন্য যে কোনো নাম হোক না কেনো নামের অনেক অনেক উর্ধের ও উর্ধে তার স্থান। তাই সিরিয়াল বা অন্য কিছু বা ধর্মের ধোহাই দিয়ে নিজেদেরকে গর্ব করবেন না। মনে রাখবেন গর্ব একটি অহংকার মাত্র।

অহংকার আপনাকে খারাপ ভালো দু’দুকেই তাড়িত করতে পারেন। বরং ঈশ্বর ই তাওহিদের একমাত্র রব।

আপনারা যাকে সাধনার সর্বচ্চ পর্যায় বলে মনে করেন তার কাছেও কিছু চাইবেন না। সরাসরি আল্লাহ্ র কাছে চাইবেন। আল্লাহ্ তার কথার ব্যাতিক্রম করে না।

যদি করতেন আমি শয়তানকে চিরতরে মুক্তি দিতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু বন্ধু! আমি তা কোনো দিনও পারবো না। আপনারা শয়তান কে ভুল বুঝবেন না। তার যে মুক্তি নাই। তাকে শুধু একটু মনের ভিতর থেকে ডাবিয়ে রাখুন।

আল্লাহ্ কখনও তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন না।

যুগে যুগে আপনার শুধু গুরু শিষ্য নবী রাসুল দের খুব সামান্য কিছু আল্লহ্ র নমুনা কে দেখানোকে অনেক বড় করে দেখে আল্লাহ্ কেই ভুলে গেছেন। আপনারা জানবেন আল্লাহ্ ই সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও সকল কিছু ভালো জানেন।

মানুষ কখনও ম্যানেজমেন্ট এর বাইরে গিয়ে ভালো ভাবে টিকে থাকতে পারবে না। তবে তা সাধনার বা জ্ঞানের স্তর অনুযায়ী হতে হবে।

কোনো প্রকার ম্যানেজমেন্টাল গ্যাপ ধরা পরলে সাথে সাথে তা পুরন করতে কার্পন্য করবেন না।

আমি আপনাদের মধ্য থেকেই কিছু বানি প্রদশ্রন করছি। আর একটু সামান্য ব্যখা দেবার চেষ্টা করছি মাত্র। দেখুনঃ

বোবা মুখে দাও সুর লাহরী, জয় বাবা লোকনাথ ব্রক্ষ্ণচারী।
.................................................................শ্রী শ্রী লোকনাথ

তিনি যা বলেছে তাকি আপনারা এখনো বুঝতে পারেন নি? আপনারা অহেতুক বোবা মানুষের মুখ থেকে কথা শুনতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন মাত্র।

এই মূহুর্তে কি আমি আপনাদের সাথে মুখ দিয়ে কথা বলছি? না চুপ করে কথা বলছি?

বিদ্রহী কবিতাটি শুধু একবার পরে দেখুন। দেখেন সবকিছু মিলে যায় কিনা? আপনারা কি কাজী নজরুল ইসলাম কে মিথ্যেবাদী ভেছেছিলেন। শুধু সেদিন তার ডাকে তিনি ছুটে আসেন নি শুধু মাত্র নিয়ম বা সময় হয় নি বলে- একমাত্র আল্লাহ্ ই আপনাদের রক্ষাকর্তা।
বুঝাইলে বুঝতে পারি
নতুবা বুঝিবো কই।
............................শাহ পির চিশতী

লালন সাই যে বিনয় করে শিরাজ শাহের পায়
স্বামী মারিলে লথি বলো যাবো কোথায়?
...............................লালন

বন্ধু বলিনি ঝুট।


এইখানে এসে লুটাইয়া পরে
সকল রাজমুকুট।
এই হৃদয়ই সেই নীলাচল, কাশী, মথুরা, বিন্দ্রাবন,
এইখানে এসে ইসা মুসা পেলো সত্যের পরিচয়।
(মানুষ কবিতা, নজরুল ইসলাম)
দয়া করে পুরোটা পরে দেখবেন।

আমি মানব, দানব, দেবতার ভয়!
...................................নজরুল

আমি জিবরাইলের পাখা ধরি যাপটি
...............................................নজরুল

নজরুলের আর একটি কবিতা আপনারা পরলে অনেক কিছু হয়তোবা বুঝে নিতে পারবেন আপনাদের উপকারের জন্য কবিতাটি হলো ‘জীবনে যাহারা বাঁচিল না’

আরো হাজার হাজার এমনকি কোটি কোটি জিনিস বা নিদর্শন আপনি পাবেন। তার মানে এই না আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারও কাছে আপনাদের কিছু চাওয়ার অধীকার আছে।

তাতে সরাসরি তিনি তাওহিদের আল্লাহ্ কে অস্বীকার করছে। আর যিনি আপনাদের স্রষ্টা তাকে অস্বীকার করা কোনো অর্থেই মোমিন বা আমানু না। যারা মোমিন তাদের ঈমান থাকে। একবার কেউ মোমিন বা আমানু হলে তিনি আর কোনো দিন তাওহিদের আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কাউকে মানতে পারে না বা উপসনা করতে পারে না কিন্তু মানুষের জন্য চাইতে পারেন। আপনিও পারেন তিনিই পারে কিন্তু তারা উভয়েই দেহধারী হয়েই থাকেন।



আজ আপনারা আপনাদের আজ কষ্ট দিয়েন না বন্ধু! আপনাদের বুদ্ধ-কৃষ্ণ-ইসা-মুসা-ইব্রাহিম-মুহাম্মদ এর কান্না যদি আপনারা বুঝতেন তাহলে আপনারা আর কোনোদিনও কোনো মন্দ কাজ করতে পারতেন না।

কোনো বানিই ত্রুটির ঊর্ধে না। বানীর ভুল ত্রুটি নিয়ে আপনারা আর কোনোদিন দয়া করে ঝগড়া ফ্যাসাদে লিপ্ত হবেন না।

আমি আপনাকে কিছু বলছি। আপনি তাতে বিশ্বাস করতে পারছেন না।

আপনি আমাকে গালাগালী দিলেন বা অন্য কোনো মানুষ উঠিয়েও গলালালি দিলেন তাই বলে কি আমি আপনার দিকে তেঁড়ে গিয়ে ঝগড়া বাধাবো বলেন? অবশ্যই না। মানুষের পরমত সইতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। পরমত শোনা আর মেনে নেয়া কিন্তু এক না।

আপনারা কি জানেন মোহাম্মদের বাবা আব্দুলাহ্ কি খৃষ্টান ছিলেন না? আমি যদি মোহাম্মদ কে খৃষ্টানের সন্তান বলি, এমনকি খৃষ্টানও বলি তাতেও মোহাম্মদের জাত যাবে না।

মহামানব দের জাত নাই। কিন্ত প্রেম আছে। তারা আপনাদের কিছু গাইড লাইন দিতে আসে মাত্র। তারা ইচ্ছে স্বাধীন। তাই বলে আপনারা অনেক ইলুশন দেখে আল্লাহ্ কে ভুলে যেতে বসেছিলেন।

মনে রাখবেন একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নাই এবং তিনি কারও মুখাপেক্ষী নয়। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধীকারী। তিনি সব কল্যানের পথকে সহয করে দেন। ভগবানের কাছে চাইতে জানতে হয়। কোনো মহাপুরুষের প্রতি অভক্তি করা হয়তো ঠিক না।

কিন্তু তাদের ভক্তি করে বা সারাদিন তাদের মাটির মুর্তির দিকে চেয়ে যদি ঐ মুর্তির মধ্যেই আল্লাহ কে খুঁজতে চান তাহলে আপনারা আপনাদের দ্রুত কল্যানের পথকে অনেক ধীর গতি সম্পন্ন করে ফেলবেন।

আপনারা আপনাদের পোষাক, খাদ্য, ব্যবসা, কালচার, নেতা নিজ গুনে ভালোটা বেছে নিবেন। আমি আপনাদের এই সব নির্ধারন করে দেবার কেউ না। আমি শুধু আমার কিছু মতামত ব্যাক্ত করেছি মাত্র।

যদি কখনও আমার কোনো রেফারেন্স দেন তাহলে অসমাত্র কোনো ভাব প্রকাশ করবেন না।

আমি বলতে চাচ্ছি যে কয়েকটি বাক্য নিয়েও একটি কথা বুঝানো হয়। আবার একটি কথা একটি শব্দেও বুঝনো যায়। তাই আপনারা নিজের কাছে ন্যায্য গুণে প্রকাশ করবেন। য দি তা না করেন তার কোনো প্রকার দ্বায়ভার দয়াকরে আমার উপর চাপাবেন না। তাতে আমি নিজ গুনে দুঃখ পেয়ে হয়তো ক্ষমা করে দিতে পারি।

আল্লাহ্ অবশ্যই সত্য ও ন্যয়ের পক্ষে থাকেন।

আমি আজ আপনাদের আমার মানব জীবনের দু’একটি কথা বলছি। আগেও কিছুটা বলেছি। আমার নানা ঝালকাঠী তে জন্ম নেন। তিনি ঝালকাঠী পশ্চিম চাঁকাঠী নামক স্থানের সরদার বাড়ীর সরদার বংশের মানুষ।

তিনি যে বাড়ীটিতে ছিলেন তা মূলত আনেক আগের একটি কুমোর বাড়ী ছিলো। তারপর সেখানে একজন সামান্য মান হলেও মানুষের স্বাধনার চেয়ে বড় স্তরের ছিলেন। আমার নানা তাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন। তিনি মাথায় তালের টুপি পরতেন। তাই আমার নানা ইলুশনের মাধ্যমে তাকে মাঝে মাঝে দেখতে পেতেন।

এটা খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার মাত্র। তিনি তাকে মনে মনে ভক্তি শ্রদ্ধা করতেন। আমার নানাও আমার মতো অনেক সামাজীক অত্যাচারের স্বীকার হন। তাই তিনি পালিয়ে ময়মনসিংহ্ পর্যন্তও যান। বিয়েও করেন।

বৌ রেখে চলে আসেন। আমার নানা গোষ্টির মধ্যে খুব সামান্য মানুষ এই প্রথম বিয়ের ব্যাপার জানেন। বেশীরভাগই জানেন না। পরবর্তীতে তিনি আমার নানী মিস ফরিদা বেগম কে এক সময় প্রাইভেট ও পরিয়েছেন। ফরিদা বেগমের বাবা ছিলেন লাল মিয়া।

লাল মিয়া তৎকালীন পৌরসভার চেয়াম্যান ছিলেন। কিন্তু আমার নানা কিন্তু পুরোপুরি ইমানদার ছিলেন না। পরবর্তীতে ১৯৭১ইং সালের ২০শে মে নানাকে পাকিস্তানী আর্মীরা নদীর পাশে (বর্তমান ঝালকাঠী তেলের ডিপো) দাঁড়া করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এই নির্মম হত্যাকান্ডের আগের রাতে আমার নানীর সাথে তার শেষ দেখা হয়। যখন তার নানীর সাথে শেষ দেখা হয় তখন তিনি ইমানদার হয়ে তাওহিদে আল্লাহ্ র বিশ্বাসের উপরে নিজেকে সমর্পন করেন।

নানীকে হাতে পরা তাবিজ উপহার দিয়ে বলেন “সন্তানদের দেখে রাখবে। ” এখানে মানা তাবিজ দিয়েছিলেন মুলত একটি উপহার হিসেবে। দয়া করে শেরেক করবেন না। নানার খুব বেশী বেঁচে থাকার আকুতি ছিলো। তিনি পাকিস্তানি মিলিটারির ভয়ে বাচ্চাদের নিয়ে খাটের তলায়ও ঘুমিয়েছিলেন।

নানা তার একমাত্র সন্তান সরদার বিপুল কে খুব ভালোবাতেন। এটা খুব স্বাভাবিক একটা মায়া বা প্রেম। তখন আমার মামার বয়স মাত্র এক বছর বা তারথেকে একটু কম বেশী। আমি ছোটবেলা থেকেই মাঝে মাঝে ঐ তালের টুপিওয়ালা মানুষটিকে দেখতাম। নানা ঐ সরদার বাড়ীর পিছনের অংশটিকে বলতেন দর্গাবাড়ী।

এবং আমার নানা নানীকে ঐ বাড়ীতে প্রতিপ দিতে আদেশ করেছিলেন। নানি সে আদেশ মানে নি।
আমি আমার মামাকে ছোট বেলা থেকেই পাগলের মতো ভালোবাসতাম। মামাও আমাকে আদর করতেন। তখন আমি ছোট।


মামা জীবনে অনেক কষ্ট (পাপের সাজা) পেয়েছেন। তিনি সালমা নামের এক মেয়েকে ভালোবাসেন। সালমার বাবা আব্দুল আজিজ (তাবলীগ নামক কাজের সাথে সপৃক্ত এবং আমার নানীর বড় বোনের স্বামী) এবং কয়েকটি ভাই ইউ.এস.এ. থাকতেন। বিপুল ও সালমার বিয়ের জন্য আমার নানী তার বড় বোনের পা পর্যন্ত ধরেন, আমার মা মেরী ও খুব কন্নাকাটি করতেন। আমি বুঝতাম কিন্তু কিছু করার নাই বন্ধু!

বিপুল পরবর্তিতে খুব সম্ভবত ১৯৯১ইং সালে সৌদী আরব এ যান।

এখনও রিয়াদ এ থাকেন নানী ও তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে। আজ মামার অঢেল বিত্ত্ব। বিপুল কে আমি যতবার হেল্প করতে চেয়েছি মামা আমাকে ভুল বুঝেছে। বিপুলের সন্তান কে মেরে ফেলবো বলে আমি হুমকি দিয়েছিলাম। বিপুল কে মূলত সাবধান করা হয়েছে পাপ ও অন্যায্য আচরন না করে স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য।

বোকা মামা আমাকে ভুলই বুঝলেন। বিপুলের সন্তানের একদিন কাশি বা অন্য কোনো ঠান্ডা জনিত রোগ হয়। যা খুব সামান্য মাত্রার অশুখ মাত্র। বিপুল ভুলে গেলেন যে আল্লাহ্ মানুষকে বাচান বড় দামী হাসপাতাল বা কোটি কোটি টাকার কোনো প্রকার কিছু করার উপায় নাই যদি না আল্লাহ্ চান। বিপুলের সন্তান টি মারা যায়।

মামা আমাকে দোষারোপ করেন হয়তো এখনও। কিন্তু করার কিছু না। এর নাম কর্ম ফল। এতে আমাকে দয়াকের কোনো প্রকার কৃতিত্ব দিবেন না। আপনাদের জীবন দিয়ে দেখুন এরকম অনেক কিছুই খুঁজে পাবেন।

মনে রাখবেন তাওহিদের আল্লাহ্ ছাড়া কোনো প্রকার উপাস্য নাই।

আমার প্রেমিকা ইফফাত জামান মুন অনেক মানুষের মধ্য একটু আলাদা গড়নের। এটা ওর ব্যর্থতা বা সফলতা নয়। ও জোড়ে জোড়ে হাটতো। মানুষ ও কে কালো বলতো।

যখন লিখতো তখন হাতের আঙ্গুলগুলো বেশী বাঁকা দেখাতো। ও একটু আলাদা বলে ওকে মানুষ পিছনে বা সামনে প্রতিবন্ধি বা অনেক কিছু বলতো। তারপরও মুন এর একটি এ্যাডভানটেজ ছিলো যে ও লেখাপড়ায় প্রচন্ড রকম ভালো। তাই মুন এর কাছে অন্য ছাত্র/ছাত্রী ও অন্যরা শিখতে চাইতো শুধু লেখাপড়া কিন্তু মন থেকে ভালোচোখে দেখতো না।

এই সহজ, সরল, সুন্দর মনের ভালো মানুষটিকে প্রেমের মাধ্যমে ঐ সময়ে অনেক খারাপ কিছু থেকে হেল্প করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিলো না।

ও অনেক বেশী ভালোবেসে আমাকে প্রেমের মায়ায় আবদ্ধ করে দেয়। আমি জানি কিন্তু ও জানে না যে আমি যদি ঐ সময় ঐ অবস্থায় মুন কে ফেলে না আসতাম বা মুন আমাকে ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য না হতো তাহলে আমার না বরং মুনের অনেক বেশী ক্ষতি হতো। তাই বলছি যা চাইবেন আল্লাহ্ র কাছে সরাসরী চাইবেন।

অনিচ্ছাকৃত দুঃখ দিলে সওয়া যায় বা অনেক পরে দুঃখ ভুলে গেলেই হয়। তাতে নিজের কাছে ভালোলাগে।

কিন্তু কোনো মানুষ যদি তার প্রেমীকাকে ইচ্ছে করে জেনেই দুঃখ দেয় তখন তার কতো খারাপ লাগে? আমি মুন কে কোনোদিন এসব বুঝতে দেই নি। মুন যদি চায় আমার সাথে সারাজীবন থাকবে তাহলে ওর চাওয়ার গুরুত্ব আমার কাছে অনেক অনেক বেশী। আর আমি বিয়ে করেছিলাম বাবা, মা ও অনেক গুলো মানুষকে একটু তালে রেখে তারা যাতে আমার উপর অত্যাচার কম করে তাদের পাপ যাতে একটু কমে। না বন্ধু কমাতে পারলাম না। আমি আমার বউয়ের পাশে থেকেও মুন কথাই ভেবেছি।

মাতামাতি করি নি। যার সাথে বিয়ে হলো তার পাপ হাজার জনমেও লাঘব হবে কিনা আল্লাহ ভালো জানেন। ব্রেন স্টেজ লাইক এ এনিমেল অর নো লেভেল পিপল ব্রেন।

নজরুল তার প্রেমিকা নার্গীস কে মুক্তি দিতে পারবেন না যেনেও কুমিল্লা থেকে বাসর রতে পালিয়ে আসে। আর আমি আমার শ্বসুর বাড়ী থেকে পালিয়ে এসেছিলাম।

এটাই স্রষ্টা খেলা মাত্র। কিন্তু স্রস্টাই সব। কোনো পাপের ক্ষমা নাই।

তাই আমি মানুষ হিসেবে মানুষের কাছে তাদের ভালো বা আমার ভালোর জন্য কিছু একটা চাইতে পারি কিন্তু মানুষ যদি আমাকে সহাযোগীতা না করে তাহলে আমি মানুষ হিসেবে আপনাদের সেবা করবো কি ভাবে?

আর এই গুলোকে নিয়তি-মিরাকল নাম দিয়ে মানুষ মনুষের সাথে অন্যায় করেছে। জাদুকর ভেবে নিজেদের কষ্টই ডেকে এনেছেন।

দয়া করে তাওহিদের আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো কাছে মাথা/ মানব আত্ম নতো করবেন না।

আপনাদের জীবন বা বেঁচে থাকার মধ্য থেকে খুঁজলে আরো বড় বড় শিক্ষাই পাবেন। তাই আপনারা এমন ভাবে দৃঢ় হন যে আপনারা আর কোনোদিন নিজে যে মানুষ তা ভুলে যাবেন না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.