উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী গতকাল পাবনার আটঘরিয়া ও রাজবাড়ীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-ভাঙচুরের ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ২৩ জন আহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর_
পাবনা : পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের জুমাইখিরী গ্রামে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছে। এ সময় বিএনপি সমর্থিত লোকজনের প্রায় ১০টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষ। পরে আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপির চারজনকে পিটিয়ে মারাত্দক জখম করে পুলিশে সোপর্দ করে। দেবোত্তর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ মেম্বর জানান, আওয়ামী লীগের লোকজন তার বাড়িসহ আজগর আলী, নূরুল, আয়নাল, বাদশা ও সাদেক আলীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে। দেবোত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি আবুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির লোকজন তার একটি রান্না ঘরে আগুন দিলে আওয়ামী লীগের লোকজনের বাধার মুখে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ব্যাপারে সদ্য নির্বাচিত জামায়াতের প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন নিজেরাই নিজেদের একটি ঘরে আগুন দিয়ে জামায়াত-বিএনপির লোকজনের ওপর দোষ চাপিয়ে নির্যাতন এবং তাদের নেতা-কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে।
রাজবাড়ী : সকাল ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পরাজয় নিয়ে বেলগাছী বাজারে বাঘের শেখের চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ সমর্থক নুরুল হক ও বিএনপি সমর্থক কামাল বসে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু করে। পরে চায়ের দোকানের লোকজন দুজনকে শান্ত করে বাইরে বের করে দেয়। এরপর চায়ের দোকান থেকে কামাল বের হয়ে এসে তার বিএনপি সমর্থিত লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে নুরুলকে মারধর করে। এরই একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতরা হলেন, রাজবাড়ী জেলা বাস্তুহারা লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম আক্কাস, খানগঞ্জ ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস, তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, যুবলীগের সদস্য রহমান শেখ, মো. শরিফ মৃধা, আবুল কালাম আজাদ, আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির দুই কর্মী আনোয়ার এবং কামাল শেখ।
কুষ্টিয়া : এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ও সিনিয়র সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান মিঠু মনোনয়নপত্র তোলেন। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আক্তারুজ্জামান মিঠু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। পরে এ নির্বাচনে আবু বক্কর সিদ্দিক বিএনপির প্রার্থীর নিকট পরাজিত হন। এতে আবু বক্কর সিদ্দিক ও আক্তারুজ্জামান মিঠুর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সকালে আক্তারুজ্জামান মিঠুসহ দুজন উপজেলার রামকৃষ্ণপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে গেলে বক্কর সিদ্দিকের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে গুলি, ককটেল ও ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে আক্তারুজ্জামান মিঠু গুলিবিদ্ধ হন। এর পর দুপুরে ভেড়ামারা শহরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে আরও পাঁচজন আহত হন। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহববু-উল আলম হানিফের ভাগ্নে বিটুর বাড়ির সামনে বোমা ফাটানো হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।