আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঁশের বেড়া দিয়ে ভরাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের ঢোলভাঙ্গা নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করে মাটি ভরাট করছেন প্রভাবশালীরা। গত ১৫ দিন ধরে চলছে এ ভরাট কাজ। ছোট নদীটি ভরাট হয়ে গেলে শুষ্ক মৌসুমে বোরো জমিতে সেচ কাজ এবং বর্ষাকালে নৌ চলাচল মারাত্দকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের থানা সংলগ্ন তিতাস নদী থেকে ঢোলভাঙ্গা নদীটি শুরু হয়ে সদর ইউনিয়নের বাঞ্ছারামপুর, সফিরকান্দি, বাঁশগাড়ি, আলীপুর, মনাইখালী, খোশকান্দি, কানাইনগর, ধারিয়ারচর, মায়ারামপুর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে। ছোট এই নদীটির দুই পাশে কয়েক হাজার একর বোরো ধানের জমি রয়েছে এবং ওই সব জমিতে এই নদী থেকে সেচ দেওয়া হয়।

উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন শ্রমিক জমি থেকে মাটি কেটে নদীতে ফেলে ভরাট করছে। শ্রমিকেরা বাঁশের বেড়া নদীর মাঝ বরাবর দিয়ে ভরাট করছে। বাঞ্ছারামপুর গ্রামের কৃষক মোহন মিয়া জানান, নদী দখল কইরা ভইরা ফালাইলে নদী আর থাকব না আর নদীডা শুকাইয়া গেলে বোরো ধান চাষ করনের লাইগ্গা আর পানিও পাওন যাইব না। দখলকারী মোহাম্মদ আলী জানান, আমরা এই জায়গা ১১৩৯ দাগে ২৮ শতক জমি কিনা নিছি। যেটুকু ভরাট করতাছি তারপরও ১০ শতক জায়গা নদীর ভিতরে পামু।

দখলকারী বিল্লাল হোসেন জানান, জায়গা মাপনের পর ১৪/১৫ দিন ধইরা ভরাট করতাছি। নায়েব সাহেব আমাদের কোনো বাধা দেননি। বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, নদী দখল করে ভরাট বন্ধ এবং বাঁশের বেড়া তুলে ফেলতে বলেছি বিল্লাল হোসেন এবং মোহাম্মদ আলীকে। ভরাট বন্ধ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, কেউ নদী দখল করে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.