অযথা ঝগড়া বিবাদ ভাল লাগে না। শিক্ষা বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। সু শিক্ষা চাই সর্বত্র।
সকাল ৮ টা থেকেই মাঠে লম্বা লাইন ভোটারদের। উৎসাহের বিন্দুমাত্র কমতি নেই তাদের মধ্যে।
রশিতে সাঁটানো হয়েছে নির্বাচনী প্রচারনা পোস্টার। নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, প্রার্থীর এজেন্ট সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করছেন নির্বিঘে। সব কিছু ঠিকঠাক রাখতে গেইট, মাঠ ও ভোটদান কক্ষে আছে পুলিশ ! জাল ভোট, ভোটারদের প্রলোভনসহ কোন ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত নয় কেউ। অমুক প্রার্থী ঋণখেলাপী, তমুক আয়কর ফাঁকি দিয়েছে এমন অভিযোগও নেই প্রতিদ্বন্ধী কোন প্রার্থীর। মোদ্দা কথায়, একটি সুন্দর ভোট যুদ্ধের চিত্র দেখা গেল গতকাল সোমবার।
তবে এটা কোন জাতীয় বা আঞ্চলিক নির্বাচন নয়। নারায়ণগঞ্জের ৭৩ নং ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর থেকে এ স্কুলে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন হচ্ছে। এবার ৬২৫ জন ভোটারের মধ্যে ৪৯৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
প্রথম থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ৫টি পদের বিপরীতে ৯ জন প্রার্থী ছিলেন।
পরে ভোট গণনা শেষে বিজয়ী হন প্রথম শ্রেনীতে আইভি আক্তার, ২য় শ্রেনীতে মোবাঈদউল¬াহ, ৩য় শ্রেনীতে মো. বাপ্পি, ৪র্থ শ্রেনীতে মাহিদুল ইসলাম ও ৫ম শ্রেনীতে মো. তৌহিদ। ফল শুনে পরাজিত প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলগুলোর মত কোনরকম নেতিবাচক অভিযোগ তুলেনি। বরং আগামীর জয়ের প্রত্যাশায় হাঁসিমুখেই তা মেনে নিয়েছে ৪ ক্ষুদে প্রার্থী ৩য় শ্রেনীর মাজহারুল ও মাছুম, ৪র্থ শ্রেনীর শান্তা আক্তার এবং ৫ম শ্রেনীর স্বপ্না আক্তার।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নির্বাচনের সব দায়িত্ব পালন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরাই।
নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছে ৫ম শ্রেনীর মাহিয়া মোসারত আর প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন একই শ্রেনীর রপন্তী ইসলাম। এই ক্লাশেরই সাবির মোহাম্মদ সাদ ও নিশাত হাসান নিয়ম ছিলেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।
স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন-২০১৪ দেখতে গতকাল ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নূরুল হাসান ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব সাধারন সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, রাজনীতিক খন্দকার হুমায়ুন কবীর, একরামুল কবীর মামুন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি নিয়াজ মো. চৌধুরী, সদস্য মীর ফয়সাল আলী,সালাহউদ্দিন সরকার মুক্তি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ।
সুন্দর পরিবেশের এ নির্বাচন দেখে উপস্থিত অনেকে মন্তব্য করেন, এভাবে যদি সব নির্বাচন হত।
কেউবা স্মৃতি হাতড়ে বলেন, এক সময় ঢাকসু, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদসহ দেশের সবক’টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নির্বাচন হত আনন্দমুখর পরিবেশে। অনেক দিন হল এসব নির্বাচন বন্ধ। এ সময় কেউ কেউ বলে উঠে, ছোটদের দেখে এবার যদি তারা শিখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।